চাকরির অনশন, ত্রাতা কি মুকুলই?
শিক্ষামন্ত্রী একজন ইনস্ট্রুমেন্ট মাত্র। কাল যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তবে এদের চাকরিতে নিয়ে নেওয়া হবে। এরা সব উলটে যাওয়া কচ্ছপ। বুধবার মালদায় টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে এসে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এদিন তাঁর আশ্বাসে অনশন তুলে নেন ২০০৯-১০ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।
আগের খবরঃ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের অনশনের ২৩ দিন
এদিন সকাল ৯টা নাগাদ জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন মুকুলবাবু। অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুকুল তাঁদের বলেন, শুধু মালদায় অনশন করলে চলবে না। কলকাতা ভিত্তিক আন্দোলন শুরু করতে হবে। দুভাবে করতে হবে এই আন্দোলন। একটি আইনিভাবে, দ্বিতীয়টি রাজনৈতিকভাবে। দুই ধরণের আন্দোলনেই তিনি ও তাঁর দল চাকরিপ্রার্থীদের পাশে রয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ তিনি কলকাতা ফিরে যাচ্ছেন। এই আন্দোলনকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যেতে গেলে চাকরিপ্রার্থীরা প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কারণ, এই রাজ্য সরকার একরোখা। এরা সিপিএমের জমানাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আগের খবরঃ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের অনশনের ১৫ দিন
অদ্ভুতভাবে মুকুল রায়ের আশ্বাস পেয়েই এদিন অনশন তুলে নেন চাকরিপ্রার্থীরা। জল ও মিষ্টি খাইয়ে তাঁদের অনশন ভঙ্গ করা হয়। তবে এক বিজেপি নেতার আশ্বাসে কেন চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের ২৫ দিনের অনশন তুলে নিলেন তা কারোর বোধগম্য হয়নি। এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, তাঁরা নিজেদের দাবি আদায়ে ফের আইনি লড়াই লড়তে চান। মুকুল রায়ের কাছ থেকে তাঁরা সবরকম আশ্বাস পেয়েছেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন ভিডিয়োঃ ক্রিতাঙ্ক
Comments