সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্নকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য
সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্নকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদায়। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, সিলেবাসের বাইরে থেকে তাঁদের প্রশ্ন এসেছে। এনিয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।
এদিন থেকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী অ্যাওয়ে সেন্টারে পরীক্ষা দিচ্ছেন পড়ুয়ারা। গৌড় কলেজের সিট পড়েছে গাজোল কলেজে। ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের অভিযোগ, প্রশ্নপত্র হাতে পেতেই পায়ের তলা থেকে মাটি সরে পড়ে তাঁদের। তাঁরা যা প্রশ্নপত্র পেয়েছেন তার ৮০ শতাংশের বেশি সিলেবাস বহির্ভূত বলেও দাবি করেন তাঁরা।
ওই বিভাগের এক ছাত্রী বলেন, তাঁরা ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশনে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন। এদিন প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই তাঁদের মাথায় হাত পড়ে। দেখেন, যা প্রশ্নপত্র রয়েছে, তার ৮০ শতাংশের বেশি সিলেবাস বহির্ভূত। দ্বিতীয় বর্ষেরও কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাঁরা ইনভিজিলেটরদের বিষয়টি জানান। কিন্তু তাঁরা তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে তাঁদের পড়াশোনা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। কোনোরকমে পরীক্ষা শেষ করে নিজেদের কলেজে ফিরে আসেন। গোটা ঘটনাটি গৌড় কলেজের অধ্যক্ষ অসীমকুমার সরকারকে জানান। তিনি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশনের কাছে নিজেদের অভিযোগ জানাতে বলেছেন। সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্নে তাঁরা যা পরীক্ষা দিয়েছেন, তাতে পাস করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তবে এবারই নয়, এর আগের ব্যাচও একই সমস্যার মুখে পড়েছিল বলে দাবি করেন ওই ছাত্রী।
গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন গৌড় কলেজের অধ্যক্ষ অসীমকুমার সরকার। যোগাযোগ করা যায়নি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশন শ্যামাপদ মণ্ডলের সঙ্গেও। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সাধনকুমার সাহা জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীরা এখনও তাঁদের কাছে কোনও অভিযোগ জানাননি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ছবিটি প্রতীকী।
Kommentare