top of page

চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা

গঙ্গার জলস্তর চূড়ান্ত বিপদ সীমা অতিক্রান্ত করেছে। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। কালুটোনটোলা ও কেশরপুরে কেটে যাওয়া অংশ চোক করে মেরামতের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। বসন্তটোলার কেটে যাওয়া অংশও দ্রুত মেরামত করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। গঙ্গার ভাঙনে বিপন্ন রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের কান্তটোলা ও শ্রীকান্তটোলা গ্রাম৷ আজ রতুয়ার দুই বিপন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক আবদুর রহিম বকসি ও সমর মুখোপাধ্যায়৷ কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউই দুই বিধায়কের দিকে এগিয়ে আসেননি। এদিকে, এই বিপর্যয়ের জন্য ফের কেন্দ্র সরকারকেই আক্রমণ করেছে রহিম বক্সি।


সেচ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ গঙ্গার জলস্তর চূড়ান্ত বিপদসীমা (২৫.৩০ মিটার) অতিক্রম করেছে৷ জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে। তবে ফুলহর ও মহানন্দা এখনও রুদ্রমূর্তি ধরেনি৷ এদিন ফুলহরের জলস্তর ছিল ২৭.৩৬ মিটার (বিপদসীমা ২৭.৪৩ মিটার)। মহানন্দার জলস্তর আজ বিপদসীমা ২১ মিটার থেকে খানিকটা নীচ দিয়ে বইছে৷ আজ রতুয়ার কান্তটোলা ও শ্রীকান্তটোলা পরিদর্শনে যান মালতিপুরের বিধায়ক আবদুর রহিম বকসি ও রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়৷


রহিম বক্সি জানান, গঙ্গার ভাঙনে মহানন্দটোলার বেশ কয়েকটি গ্রামের সঙ্গে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে কান্তটোলা৷ রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের পাশাপাশি, মানিকচক, মোথাবাড়ি, বৈষ্ণবনগর এলাকাতেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাজ্য সরকার গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে৷ মানুষকে ত্রাণ দিচ্ছে৷ গঙ্গা ভাঙন জাতীয় বিপর্যয়৷ এর দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের৷ কেন্দ্রকে বারবার বলা হলেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না৷ কোনোভাবে গঙ্গা আর ফুলহর মিশে গেলে গোটা রতুয়া এলাকাই শেষ হয়ে যাবে৷



খগেন মুর্মু জানান, রাজ্য সরকারের উচিত, ভাঙন রোধের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা৷ এটা রাজ্যের দায়িত্ব, কেন্দ্রের নয়৷ রাজ্য যদি সেই খরচ করতে না পারে তবে কেন্দ্রের সাহায্য নিতে পারে৷ সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে হবে৷ পাঁচ বছর ধরে বলার পরেও এমন একটি চিঠিও রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছে যায়নি৷ পাঁচ বছর ধরে আমি একথা বলে যাচ্ছি৷ আমি ওঁদের বলেছি, আপনারা চিঠি পাঠিয়ে থাকলে তার কপি আমাকে দিন৷ রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখুন৷ ওই চিঠির একটা জেরক্স পেলেই আমি নিজের দায়িত্বে কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসব৷ আসলে কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রকে বরাদ্দ পকেটে ভরতেই আজ ওনারা ওই এলাকায় গিয়েছেন।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

תגובות


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page