রাত থেকে ভাঙন কান্তটোলায়, আতঙ্ক পুরো এলাকায়
ফুলহরের পর এবার গঙ্গার দাপট। গতকালই গঙ্গার ছোবলে বিলিয়েছে প্রায় ২০টি বাড়ি। ইতিমধ্যে বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। গ্রামবাসীদের দাবি, রাত হতেই ফের গঙ্গার তাণ্ডব শুরু হবে। ঘটনাটি রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্তটোলা গ্রামের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত বছর থেকেই কান্তটোলা গ্রামে ছোবল মারতে শুরু করেছে। পাশের গ্রাম শ্রীকান্তটোলার বেশিরভাগ অংশ ইতিমধ্যে নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। একই অবস্থা হতে চলেছে কান্তটোলা গ্রামেরও। গতকাল রাত আড়াইটে তিনটে থেকে নদীর পাড় কাটতে শুরু করেছে। গ্রামের শিবমন্দির, একটি ইঁদারা আর বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার রাতেই নদীতে তলিয়ে গিয়েছে৷ গত বছর এই এলাকায় বস্তা ফেলেও ভাঙন আটকানো যায়নি। গতকাল থেকে ভাঙন শুরু হওয়ার পর আতঙ্কে ঘুম উড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের।
এক গ্রামবাসী বলরাম মণ্ডল জানান, বছর দশেক আগে গঙ্গা এই গ্রাম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল৷ এখন গ্রামটাই নদীতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম। গত বছর আমার বাড়ি নদীতে তলিয়েছে। সরকার আমাদের জন্য কিছুই করেনি৷ গ্রাম বাঁচাতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গত বছর বস্তা ফেলে নদী শুকোনোর পর কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কিছুই কাজ হয়নি। এখন ফের নদী ফুলে উঠে পাড় কাটতে শুরু করেছে। আমাদের এখানকার নেতা সমর মুখার্জি এলাকার বিধায়ক৷ কিরণ মণ্ডল, জয়ন্ত মণ্ডল পঞ্চায়েতের সদস্য৷ কিন্তু কেউ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। সাংসদ খগেন মুর্মু এখানে এলে শুধু সমর মুখার্জির কথা বলেন৷ আর সমর মুখার্জির গলায় শুধু খগেন মুর্মুর কথা৷ কাজের কাজ কেউ করেন না৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Коментарі