গঙ্গা না বাঁধা হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দুর্গতদের
গঙ্গা না বাঁধা হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি ভাঙন দুর্গতদের। আজ জেলা প্রশাসনের কর্তা ও মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এমনই হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে দিয়েছেন রতুয়া ১ ব্লকের বাসিন্দারা। কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য না করলে দুর্গতদের সঙ্গে নেমে আন্দোলনের আশ্বাস মন্ত্রীর।
আজ দুপুরে গঙ্গার ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দটোলা পঞ্চায়েত এলাকায় যান রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন৷ সঙ্গে ছিলেন দুই বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি ও সমর মুখোপাধ্যায়, পুলিশসুপার প্রদীপকুমার যাদব, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরি, রতুয়া-১ ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো, রতুয়া থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত সহ সেচ দফতরের অন্যান্য আধিকারিকেরা৷ দুর্গত এলাকায় গিয়েই গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়েন মন্ত্রী৷ গঙ্গার ভাঙনে একের পর এক এলাকা বিপন্ন হলেও সরকার কেন নদীর ভাঙন আটকাতে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা জানতে চান বিপন্ন মানুষ৷ তাঁদের প্রশ্নবাণ থেকে কোনওমতে রক্ষা পান মন্ত্রী৷
ভাঙন দুর্গতদের উদ্দেশ্যে সাবিনা বলেন, গঙ্গার ভাঙন আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে৷ দুর্গত মানুষজনের জন্যও আমি চিন্তিত৷ আমি এই দুর্গত মানুষদের বাঁচাতে চাই৷ এনিয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি৷ কিন্তু একটি ক্ষেত্রে আমরাও সমস্যায় পড়েছি৷ আগে নদীর ভাঙনে তলিয়ে যাওয়া জমি কখনও চর আকারে জেগে উঠলে সেই জমির মালিক হতেন ভাঙন দুর্গতরাই৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই আইন বদলে ফেলেছে৷ এখন জেগে ওঠা চরের জমির মালিক সরকার৷ দুর্গতরা যাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য পান, তার জন্য আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি৷ কেন্দ্র সেই সাহায্য না করলে আমি আপনাদের নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করব৷
যদিও মন্ত্রীর কথায় ভরসা নেই ভাঙন দুর্গতদের। তাঁদের দাবি, ভাঙনে একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা। এতদিন তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। কিন্তু ভাঙনে তাঁরা দিশেহারা হয়ে গেলেও কোনও মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি কিংবা নেতারা তাঁদের পাশে দাঁড়াননি। তাঁদের সাফ কথা, আগে গঙ্গাকে বাঁধতে হবে৷ নইলে তাঁরা কেউ এবার ভোট দেবেন না৷ ভাঙন বিপন্ন সব মানুষ একত্রিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments