ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তাড়া খেলেন মন্ত্রী
ভাঙন কবলিত এলাকা দেখতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে মন্ত্রী। লাঠি উঁচিয়ে কার্যত মন্ত্রীকে তাড়া করেন মহিলারা। পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। অল্প সময়ের মধ্যেই এলাকা ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন মন্ত্রী। স্থানীয় সাংসদকে ক্ষোভ দেখানো উচিৎ সাফাই মন্ত্রীর।
সাধারণত বর্ষার আগে থেকেই ফুলহর নদীর ভাঙন শুরু হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইতিমধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রশিদপুর, কাওয়াডোল এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীতে তলিয়েছে বেশ কিছু বাড়ি সহ দোকানঘর। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতি বছরই ফুলহরের ভাঙন হচ্ছে৷ সমস্যার সমাধানের জন্য বারবার মন্ত্রী সহ ব্লক প্রশাসনকে জানানোর পরেও কেউ এগিয়ে আসেনি৷ এখন বর্ষা শুরুর পর টনক নড়েছে৷ আজ ভাঙন কবলিত এলাকা দেখতে যান রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেন৷ মন্ত্রীকে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ কার্যত লাঠি উঁচিয়ে মন্ত্রীকে তাড়া করেন মহিলারা। তবে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকায় তেমন গণ্ডগোল হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে খানিক সময়ের মধ্যেই ফিরে আসেন মন্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ২ বছর ধরে গ্রামে ভাঙন হচ্ছে। বারবার জানানোর পরও প্রশাসনের হেলদোল দেখা যায়নি। ভাঙন রোধের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন এরা চুরি করার জন্য এসেছে৷ নদীতে বস্তা ফেলার নামে টাকা চুরি হবে। ভাঙন রোধের কাজের বদলে জমি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী তজমুল হোসেন জানান, আমরা বারবার সেচ দফতরকে ভাঙন রোধের কাজের জন্য জানিয়েছিলাম। কিছুটা কাজ হয়েছে৷ গ্রামবাসীদের বাঁচাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজের জন্য সেচ দপ্তরকে বলা হবে। এখান থেকে খগেন মুর্মু ভোটে জিতেছে৷ এই ক্ষোভটা তাকেই দেখানো উচিত৷ আমরা এখানে অনেক কাজ করেছি৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments