ফের ভাঙন গোপালপুরে, সরকারি সাহায্যের তাকিয়ে দুর্গতরা
ফের ভাঙনের আতঙ্কে মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। গতকাল থেকে শুরু হওয়া ভাঙন শনিবারেও দেখা গিয়েছে তিনটি গ্রামে। বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে সেচ দপ্তর। তবে সেচ দপ্তরের কাজ নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এভাবে বালির বস্তা ফেলে কাজ না করে ভাঙন রোধের জন্য স্থায়ী কাজ করা হোক।
গঙ্গার জলস্তর কমার সঙ্গে শুরু হয়েছে ভাঙন। গত কয়েকদিন ধরে গোপালপুরের কামালতিপুর ভাঙন চলছে বলে অভিযোগ। প্রথম দিকে ভাঙনের তেমন তীব্রতা না থাকলেও গতকাল থেকে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। কামালতিপুরের পাশাপাশি সহবতটোলা ও ইশ্বরটোলাতেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাড়িঘর ভেঙে সামগ্রী নিয়ে আমবাগানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন অনেকেই।
এক দুর্গত বানো বিবি জানান, বারবার ভাঙনের কথা প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। নিজেদের বাড়িঘর ভেঙে অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছি। এখানে খাবার নেই, আলো নেই। মশার কামড়ে থাকা যাচ্ছে না। আমরা সরকারের ওপর ভরসা করে আছি, কিন্তু সরকার কিছুই করছে না। প্রতি বছর ভাঙন এলে সরকার ভাঙন রোধের কাজ করে। কিন্তু শুখা মরশুমে ভাঙন রোধের জন্য স্থায়ী কোনও কাজ করা হচ্ছে না। আমরা চাই, সরকার ভাঙন রোধের স্থায়ী কাজ করুক।
তানজিনা খাতুন নামে আরেক মহিলা জানান, পাড় কাটতে কাটতে নদী ঘরে দুয়ারে এসে পৌঁছেছে। এলাকার লোকজন ঘরবাড়ি ভাঙতে শুরু করেছেন। গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ঘরের সামগ্রী বাইরে এনে রাস্তার ধারে রেখেছি। আপাতত মাথা গোঁজার কোনও আশ্রয় নেই। সরকার আমাদের ঘর করার মতো জায়গা দিক।
ইসরাউল মোমিন নামে এক ভাঙন দুর্গত জানান, গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে ভাঙন চলছে তাতে আতঙ্কিত হয়ে এলাকার সকলে বাড়িঘর ভেঙে ফেলছে। গত দু’দিনে ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে। বাড়ি ভেঙে অন্যের জায়গায় উঠে এসেছি। জমির মালিক আমাদের এখানে থাকতে বাধা দিচ্ছে। সরকার হয় আমাদের জায়গার ব্যবস্থা করে দিক, নয়তো আমাদের বাড়ি পাকা বাড়ি বানিয়ে দিক। কেন সরকার আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না?
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments