মন্ত্রী জেলা ছাড়তেই গঙ্গার ছোবল, নদী গর্ভে একাধিক দোকান-বাড়ি
সপার্ষদে পরিদর্শনে করে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি জেলা ছাড়তেই ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে মানিকচক ঘাট এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গতকাল রাতে প্রায় ২৫০ মিটির পাড় জলে তলিয়েছে। তলিয়েছে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি দোকান সহ বেশ কিছু বাড়িও। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাড়ি ঘর সরিয়ে নেওয়ার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন বিডিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ মানিকচক ঘাট সংলগ্ন এলাকায় অকাল ভাঙনই শুরু হয়। আতঙ্কে পুরো এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মানিকচক থানার পুলিশ। ব্যবসায়ীরা রাতেই দোকান থেকে সামগ্রী সরানোর চেষ্টা করলেও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ তাঁদের সরিয়ে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দা ছোটন প্রামাণিক বলেন, রাত দুটো নাগাদ এলাকার লোকজন ফোন করে জানান, আমার দোকান নদীতে কেটে যাচ্ছে। খবর পাওয়া মাত্রই দোকানে ছুটে আসি। দোকান থেকে সামান্য কিছু সামগ্রী বের করতে পেরেছি। পুলিশকর্মীরা নিরাপত্তার জন্য আমাদের দোকান থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। রাতেই ১০-১২টি দোকান নদীতে তলিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এলাকায় ভাঙন রোধের কিছুই কাজ হয়নি। বন্যা কিংবা ভাঙনের সামনে শুধু বালি-মাটির বস্তা ফেলে জলে টাকা দেওয়া হয়। ভাঙন রোধে স্থায়ী কাজ না হলে এসব করে কিছুই হবে না।
আরেক ব্যবসায়ী মালিক আলি জানান, রাত দেড়টা নাগাদ আকাল ভাঙন শুরু হয়৷ প্রায় ২০০ মিটার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মাটি ধসে গিয়েছে৷ অনেক দোকান তলিয়ে গিয়েছে৷ কেউ ভাবতে পারেনি, এই সময়ে (নভেম্বরে) গঙ্গার ভাঙন হতে পারে৷ আমার দোকানও নদীতে তলিয়েছে এখন কীভাবে সংসার চালাব বুঝতে পারছি না।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments