top of page

আদালতের বিচারের অপেক্ষা না করেই উচ্ছেদের অভিযোগ

জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে জমি, বাড়ি সহ ব্যাবসায়িক স্থল। ন্যায্য দাম না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এরই মধ্যে উচ্ছেদ অভিযানে নামে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দাদের প্রতিবাদে পিছু হটতে হয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে। লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় আদালত। লকডাউন শিথিল হতেই ফের উচ্ছেদ অভিযানে নামল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।


Eviction without a Court Order

সম্প্রীতি বছর দুয়েক আগে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয় মালদার রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের সামসি গ্রামপঞ্চায়েতের ধরমকাঁটা এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাজারমূল্য অনুযায়ী দাম না পাওয়ায় বেঁকে বসেছিলেন বাসিন্দারা। কেউ কেউ অবশ্য ক্ষতিপূরণের চেক নিয়ে অন্যত্র সরে পড়েছেন। তবে, রীতিমতো হাইকোর্টে মামলা করে ন্যায্য বিচারের আশায় দিন গুনছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের আগে উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাসিন্দাদের প্রবল আপত্তিতে পিছু হটতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন জারি হতেই বন্ধ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে, মামলার শুনানি আটকে থাকে। লকডাউন শিথিল হতেই ফের উচ্ছেদ অভিযানে নামে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।



বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে আবেদন করেছিলেন আবদুল হাকিম। তাঁর আবেদন ছিল হাইকোর্টে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যাতে তাঁর বসবাসের বাড়িটি না ভাঙা হয়। জেলাশাসক, পুলিশসুপার ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে পর্যালোচনা করার জন্য নির্দেশ দেন। জেলাশাসকের নির্দেশের পরেও গত শুক্রবার থেকে আবদুল হাকিমের বাড়ি ভাঙা শুরু করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। হীরালালবাবু জানান, তাঁর পরিবার ন্যায্য ক্ষতিপূরণের জন্য জলপাইগুড়ি ডিভিশনের আরবিট্রেশন, মালদা জেলা আদালত, কলকাতা হাইকোর্ট, এমনকি সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের করেছেন। এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারাও পরে এই মামলার সাথে যুক্ত হয়েছেন।


সিদ্ধার্থ রায় নামে আরেক ব্যবসায়ী জানান, আমরা বাণিজ্যিক ভবনের পরিবর্তে টাকা পেয়েছি বটে তবে ব্যবসা করার জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পাইনি। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছি। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সব ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল।

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page