জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে উত্তেজনা
পুরাতন মালদা পুরসভার জমা জলের সমস্যা পরিদর্শনে গিয়ে তৃণমূলি কাউন্সিলরের প্রতিনিধির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ। জল নিকাশির যথাযথ ব্যবস্থার জন্য রেল ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গেও কথা বলেন সাংসদ। সাংসদের এই কর্মসূচিকে নাটক করে দাবি করেছে পুরসভার চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য, বৃষ্টির জলে বেশ কিছুদিন ধরে জলমগ্ন রয়েছে পুরাতন মালদা পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। মহানন্দার জলস্তর বৃদ্ধিতে সমস্যা আরও বেড়েছে। জমা জল পচে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পচা জল বেয়ে চলাচল করতে গিয়ে চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। এনিয়ে পুর এলাকার নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন আগেই পুরাতন মালদা পুরসভার ১৩-১৪ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে তৃণমূল-কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সাংসদ। আজ সকালে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে যান তিনি। আজ স্থানীয় কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কা গাঙ্গুলির প্রতিনিধির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সাংসদ। পরে আরও কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন খগেনবাবু।
কাউন্সিলরের প্রতিনিধি শ্রবণ গাঙ্গুলির দাবি, ১২ বছর ধরে এলাকার মানুষ জলে ডুবছে। এর আগে কেউ এলাকার মানুষের কথা ভাবেনি। পুরভোটের পর কাউন্সিলর এই ওয়ার্ডের জন্য তিনটি ড্রেনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। পুরসভা থেকে সেই ড্রেনগুলির অনুমোদন মিলেছে। একটি ড্রেনের কাজ হলেও বর্ষার কারণে বাকি দুটি ড্রেনের কাজ করা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের এর পরের বছর থেকে আর সমস্যায় পড়তে হবে না। আর সাংসদ বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি টাকা দিচ্ছে৷ সব মিথ্যে কথা৷ তিনি শুধু রাজনীতি করতে এলাকায় এসেছেন।
খগেনবাবু জানান, দীর্ঘদিন থেকেই এখানে জমা জলের সমস্যা রয়েছে৷ এই সমস্ত কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ফান্ড থেকে পুরসভাগুলিকে টাকা দেয়। কিন্তু এখানে কাজ হয় না। এলাকার মানুষ সমস্যা সমাধানের জন্য ডেকেছিলেন। তাঁদের ডাকেই এসেছি। স্থানীয় কাউন্সিলরকেও ডেকেছিলাম। কিন্তু ওনারা রাজনীতি ছাড়া কিছুই বোঝেন না। রেল আর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলে নিকাশি ড্রেনের বিষয়টি নির্দিষ্ট জায়গায় তুলে ধরব৷
পুরাতন মালদা পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ জানান, গত কয়েকদিন ধরেই সাংসদ এখানে নাটক করতে আসছেন৷ তিনি কেন্দ্রের কোনও টাকা আনতে পারেননি। রাজ্য সরকারের এরিয়া ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের ৫৪ লাখ টাকায় ওই ওয়ার্ডে ৫৫ শতাংশ নিকাশির কাজ করা হয়েছে৷ বর্ষার কারণে বাকি কাজ শুরু করা যায়নি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments