top of page

আলুর বন্ড জালিয়াতি চক্রের হদিশ মালদায়

হিমঘরে সংরক্ষিত আলুর বন্ড নিয়ে জালিয়াতি চক্রের হদিশ মিলল মালদায়। ইতিমধ্যে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলায় আরও কোথায় এই চক্র সক্রিয় হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। পুরো ঘটনায় হতভম্ব চাষি ও ব্যবসায়ীরা।


মালদা জেলার পুরাতন মালদা ব্লকে সবচেয়ে বেশি আলু উৎপন্ন হয়। স্বভাবতই আলু সংরক্ষণের জন্য সেখানে হিমঘরের সংখ্যাও বেশি। গত রবিবার ওই এলাকার একাধিক আলুর জাল বন্ডের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে জাল বন্ডের একটি চক্রের হদিশও পেয়েছে মালদা থানার পুলিশ।


একটি হিমঘরের ম্যানেজার দীপক রাজবংশী জানান, রবিবার বিকেলে অভিজিৎ রাজবংশী নামে একটি ছেলে দুটি আলুর বন্ডে ২০০টি আলুর প্যাকেট হিমঘর থেকে নিয়ে যেতে এসেছিল৷ আমাদের প্রতিটি বন্ডে বারকোড থাকে। বন্ড দুটি মেশিনে পরীক্ষা করতেই দেখা যায়, দুটি বন্ডই জাল। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চেচু মোড়ের উপেন রাজবংশী নামে এক ব্যক্তি তাকে ওই দুটি বন্ড দিয়ে আলুর বস্তা হিমঘর থেকে বের করে নিয়ে যেতে বলেছে৷ উপেনবাবুকে হিমঘরে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি আরও একটি বন্ড নিয়ে হিমঘরে আসেন। সেই বন্ডও জাল। উপেনবাবু জানান, তিনি কারও কাছে তিনটি বন্ডে ৩০০ প্যাকেট আলু কিনেছেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।

মালদা থানার পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, উপেন রাজবংশী ও অভিজিৎ রাজবংশীকে জেরায় উঠে আসে আরও তিনজনের নাম৷ তিনজনই গাজোল থানা এলাকার বাসিন্দা৷ মঙ্গলবার সঞ্জয়প্রসাদ ভগত, সুফল স্বর্ণকার ও দুলাল সরকার নামে ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।



আদালতে যাওয়ার পথে উপেন রাজবংশী দাবি করেছেন, সঞ্জয় তাঁকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে৷ তাঁর কাছে তিনটি বন্ড বন্ধক ছিল৷ সেই বন্ডগুলি দিয়ে আলু তুলতে গিয়ে জানা যায়, সেসব জাল৷ সঞ্জয়ই বন্ড জাল করেছে৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page