ভুয়ো এনসিবির নোটিশ! তোলাবাজি চক্রে গ্রেফতার দুই
নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরোর নাম করে তোলাবাজির অপরাধে দুই কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করল কালিয়াচক থানার পুলিশ। ধৃতদের একজন বর্তমান, অন্যজন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। গোটা ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিয়াচকে।
ধৃতদের নাম মতিউর রহমান ও রাবণ মণ্ডল৷ মতিউর কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের চরি অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান৷ রাবণ ওই ব্লকেরই শাহবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নামে নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরোর নোটিশ আসছিল। মাদক সংক্রান্ত মামলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কলকাতা অফিসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল নোটিশে। কিন্তু সেই নোটিশ সরাসরি ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছচ্ছিল না। সেই নোটিশে উল্লেখ থাকত, শাহবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। তিনি নিজে বা পঞ্চায়েত কর্মীদের দিয়ে নোটিশে নাম থাকা ব্যক্তিদের নোটিশ পৌঁছে দেবেন।
কেন্দ্রীয় সংস্থার নোটিশ পেয়ে স্বভাবতই সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভয় দেখা দিত। সেই ভয়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তোলাবাজি চলছিল। এক ব্যবসায়ী আসিরুদ্দিন শেখ জানান, প্রধান রাবণ আমার বাড়িতে এসে স্ত্রীর হাতে নোটিশ ধরিয়ে চলে যায়। বাড়ি ফিরে সব জানার পর ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই, প্রধান জানায়, মতিউর রহমানের সঙ্গে নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরোর ভালো পরিচয়। বিষয়টি নিয়ে মতিউরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই তিনি ২ লক্ষ টাকা চান। এতেই আমার সন্দেহ হয়। আরেক ব্যবসায়ী অজিত মণ্ডল জানান, আমার নামেও নোটিশ আসে৷ প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, লাখ খানেক টাকা দিলেই আর চিন্তার কিছু নেই। তিনি সব মিটিয়ে নেবেন। এই কথা শুনেই সন্দেহ হয়। এরপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করি। সকলে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন।
কালিয়াচকের এসডিপিও ফয়সাল রাজা জানিয়েছেন, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর নামে ভুয়ো নোটিশ পাঠিয়ে সাধারণ গ্রামবাসীদের কাছে তোলাবাজি চালানোর অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ দু’জনের কারও নারকোটিক্স ব্যুরোর সঙ্গে সম্পর্ক নেই৷ এই জালিয়াতি চক্রে আরও কেউ জড়িয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments