top of page

টাঙনপাড়ে ফসলের খোঁজ, সাঁকো বানাচ্ছে চাষিরা

ধান কাটার সময় এসেছে। এরই মাঝে প্রায়দিনই বৃষ্টি হচ্ছে জেলায়। এই পরিস্থিতিতে বেশিদিন ধান ফেলেও রাখা যাবে না জমিতে। এদিকে ধান কাটা হলেও বাড়িতে নিয়ে আসা সম্ভব নয়, কারণ নদীর উপর বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়েছে।


Farmers built a bridge in lockdown
অগত্যা লকডাউনে চাষিরা নিজেরা সাঁকো তৈরির কাজে নেমে পড়েছে

লকডাউনে আর নতুন করে সেতু তৈরির কাজ করা যায়নি। ফলে সমস্যায় পড়েছেন পুরাতন মালদার সাহাপুরের চাষিরা। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক দফতরে সাঁকোর আবেদন জানালেও ফল মেলেনি। অবশেষে চাষিদের পাশে দাঁড়ান সভাধিপতি। অগত্যা লকডাউনে চাষিরা নিজেরা সাঁকো তৈরির কাজে নেমে পড়েছে।




পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে টাঙন নদী৷ নদীর তীরবর্তী হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। কিন্তু জমিতে যাতায়াতের জন্য নদীতে কোনও সাঁকো ছিল না৷ নতুন সাঁকোর জন্য চাষিরা পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি৷ অবশেষে জেলাপরিষদের সভাধিপতির নজরে আনা হয় বিষয়টি৷ তাঁর হস্তক্ষেপে অবশেষে শুরু হয়েছে নতুন সাঁকো তৈরির কাজ৷ জেলাপরিষদ থেকে এই সাঁকোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে৷ কিন্তু শ্রমিকের অভাবে জেলাপরিষদ সেই কাজ শুরু করতে পারছিল না৷ অবশেষে এই সাঁকো নির্মাণে এগিয়ে আসে চাষিরাই৷ নিজেদের শ্রমে তাঁরা সাঁকো তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে৷

এক চাষি বলেন, সমস্যার কথা জেলাপরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে জানানো হয়৷ ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এলাকার সহকারী ইঞ্জিনিয়ারকে এখানে পাঠান৷ ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্ট পেয়েই গৌরবাবু এখানে সাঁকো নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন। কিন্তু শ্রমিকের অভাবে চাষিদের সাঁকো তৈরির কাজে হাত দিতে হয়েছে। সাঁকো তৈরি না হলে মাঠের ধান মাঠেই থেকে যেত৷


টপিকঃ #TanganRiver #Lockdown

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page