শিক্ষা দপ্তরের ঘুঘুর বাসা ভাঙতে ফাইল ট্র্যাকিং সফটওয়্যার
মালদা জেলাতেই প্রথম ফাইল ট্র্যাকিং সফটওয়্যার চালু করল মালদা জেলা শিক্ষা দপ্তর। গতকাল রাতে এই ব্যবস্থার উদবোধন করেন শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন। উপস্থিত ছিলেন জেলা স্কুল পরিদর্শনে বাণীব্রত দাস সহ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা।
সত্যজিৎ বর্মন জানান, মালদার ডিআই-এর উদ্যোগেই ফাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু হল৷ এই ব্যবস্থার ফলে কোনও শিক্ষক যদি তাঁর কোনও ফাইল শিক্ষা দফতরে জমা করে থাকেন, খুব সহজেই সেই ফাইলের সন্ধান পাওয়া যাবে৷ এতে প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকার উপকার হবে৷ অফিসের কর্মীদেরও সুবিধে হবে৷ মালদা থেকে এই ব্যবস্থা শুরু হল৷ আগামী দিনে হয়তো সারা রাজ্যে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে৷
ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে যাওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়ে যারা দুর্নীতি করেছে তারা শাস্তি পাবে৷ তদন্ত চলছে৷ বেশ কিছু অপরাধী ধরাও পড়েছে৷ স্কুলের শিক্ষক কিংবা দফতরের কর্মীদের কেউ যদি এই দুর্নীতিতে জড়িত থাকেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে সবাইকে টাকা দেওয়া হয়েছে৷ কেউ যদি তা না পেয়ে থাকে, তবে সরকারের কাছে আবেদন জানালেই টাকা পেয়ে যাবে৷
জেলা স্কুল পরিদর্শক বাণীব্রত দাস জানান, কোনও ফাইলের ডকেট নম্বর দিয়ে এই সফটওয়্যারে সার্চ করলেই সেই ফাইল কোন টেবিলে, কার কাছে, কেন আটকে রয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য উঠে আসবে৷ এর ফলে কোনও শিক্ষকের ফাইলই দীর্ঘদিন দফতরে আটকে থাকবে না৷ দীর্ঘদিন আগে প্রয়োজনীয় ফাইল জমা দিলেও কাজ না হওয়ার অভিযোগ আসছিল। অনেকেই আবার ফাইল হারিয়ে যাওয়ার কথা বললেন বলেও অভিযোগ শোনা গিয়েছে। এই সমস্ত সমস্যা দূর করতেই এই সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। জেলা শিক্ষা দপ্তরের তিনজন এই সফটওয়্যার তৈরি করেছেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments