পুজোর মুখে সমস্যায় অসংরক্ষিত এলাকার বাসিন্দারা
পুজোর মুখে মহানন্দার জলস্তর বাড়তে থাকায় সমস্যায় পড়েছেন দুই পুরসভা এলাকার কয়েক হাজার পরিবার। ইংরেজবাজার পুরসভার তরফে আজ ফ্লাড শেল্টার খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও পুরাতন মালদা পুরসভার তরফে এখনও দুর্গতদের জন্য মাথা গোঁজার মতো ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
সেচ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানন্দার জলস্তরের উচ্চতা ছিল ২০.৮৭ মিটার৷ যা বিপদসীমা (বিপদসীমা ২১.০০ মিটার, অতি বিপদসীমা ২১.৭৫ মিটার) থেকে মাত্র ১৩ সেন্টিমিটার নিচে। ইতিমধ্যে মহানন্দা নদী সংলগ্ন দুই পুরসভার এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে জল ঢুকে গিয়েছে। ইংরেজবাজার পুরসভার ৮, ৯, ১২, ১৩ ও পুরাতন মালদা পুরসভার ৭, ৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অসংরক্ষিত এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে৷
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের স্পিড বোটে পরিস্থিতির তদারকি করেন জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) পীযূষ সালুঙ্খে, সদর মহকুমাশাসক পঙ্কজ তামাং, ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
পুরাতন মালদা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সফিক শেখ জানান, নদীর জল ক্রমাগত বাড়ছে৷ এলাকায় জল ঢুকে পড়েছে৷ ঘর খালি করে দিয়েছি৷ বাড়ির পাশেই একটি স্কুল রয়েছে৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, আরও দু’তিনদিন পর স্কুল ফাঁকা হবে৷ এই দু’তিনদিন থাকব কোথায় জানি না৷ জলে বিষাক্ত সাপ সহ অন্যান্য পোকামাকড় ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তার দিকে তাকিয়ে রয়েছি।
পুরাতন মালদার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলাম শেখ জানান, এলাকার প্রায় ২৫০টি বাড়ি ডুবে গিয়েছে৷ আমাদের জন্য কোনও স্কুলের ব্যবস্থা এখনও করা হয়নি৷ শুনলাম, স্কুলে পরীক্ষা চলছে৷ পরীক্ষা শেষ না হলে আমরা স্কুলে ঢুকতে পারব না৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
コメント