ভোট না দেওয়ায় মিলছে না ত্রাণ, অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুরে
বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় মিলছে না ত্রাণ। এমনই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ বানভাসিদের। তৃণমূলের লোকজন সরকারি ত্রাণ বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভরছে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের আটটি গ্রাম ফুলহরের জলে প্লাবিত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত এবং বিধানসভা নির্বাচনে এই সব গ্রামে নাম মাত্র ভোট পেয়েছে তৃণমূল। সেই কারণেই তাঁরা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারি ত্রাণ বেছে বেছে তৃণমূল সমর্থকদের দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে সকাল থেকেই গ্রামে গ্রামে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বানভাসি পরিবারগুলি।
বিক্ষোভকারী স্থানীয় বাসিন্দা বিভীষণ মণ্ডল জানান, বাড়িঘরে জল ঢুকেছে। রাস্তায় আশ্রয় নিতে হয়েছে আমাদের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ মেলেনি। শুধু তাই নয়, সমস্তরকম সরকারি সুবিধে থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না। স্কুলে মেয়েদের ভরতি নেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র বিজেপিকে সমর্থন করায় আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কুন্দন মণ্ডল বলেন, এই এলাকায় বিজেপির সমর্থন বেশি। তাই তৃণমূল সবকিছুতে দলবাজি করছে। পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত সদস্যদের বদলে তৃণমূলের লোকজনের হাতে সরকারি ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা সেই ত্রাণ নিজেদের মতো বিলি করছেন। সরকারি ত্রাণের বেশ কিছু জিনিস বিক্রি পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে বলে আমাদের ধারণা। প্রশাসনও শাসকদলের অঙ্গুলি হেলনে চলছে।
[ আরও খবরঃ তৃতীয় ঢেউয়ের আগে প্রস্তুত হচ্ছে রেল হাসপাতাল ]
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, মমতা ব্যানার্জির সরকার কখনও দল দেখে কাজ করে না। ওই এলাকায় গতবার আমরা নিজে দাঁড়িয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছিলাম। এবার ত্রাণ পঞ্চায়েতে পাঠানো হয়েছে। পৌঁছতে হয়তো কিছুটা সময় লাগছে। যে সমস্ত অভিযোগ উঠছে তা ভিত্তিহীন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
תגובות