নষ্ট হচ্ছে আমের মুকুল, হতাশ মালদার চাষিরা
এই সময় বৃষ্টির জল আমের মুকুলে লাগলে ফুল পচে যায়। গাছে ছত্রাকের আক্রমণ হয় বক্তব্য জেলার আমচাষিদের। শনিবার ভোররাতের হঠাৎ বৃষ্টিতে মাথায় হাত পড়ছে মালদার আম ব্যবসায়ীদেরও।
মালদা জেলার অর্থনীতি বহুলাংশে আমের ফলনের উপর নির্ভরশীল। গাছের মুকুল দেখে এবছর রেকর্ড ফলনের আশার কথা শুনিয়েছিল জেলা উদ্যানপালন দফতর। শনিবার ভোররাতের বৃষ্টির পর জেলার চাষিদের প্রতি উদ্যানপালন দফতরের পরামর্শ শীঘ্রই গাছে ছত্রাকনাশক স্প্রে করার। তবে তাঁরা আশার কথা শুনিয়েছেন যে, যদি আর কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তবে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে।
মালদায় শীত দীর্ঘায়িত হওয়ায় দেরিতে মুকুল আসে প্রতিটি আমগাছে। তবে গাছে এবছর মুকুল এসেছে যথেষ্ট। কিন্তু এর পরেও চাষিদের মাথায় হাত পড়ছে কারণ কিছুদিন যাবৎ প্রতিদিন রাতের বেলা বৃষ্টি হচ্ছে জেলায়। গতকাল ভোররাতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৃষ্টিপাত হয়। পুরাতন মালদার সাহাপুর অঞ্চলের এক আমচাষি জানালেন, এইসময় গাছে মুকুল থেকে ফুল ফুটে গিয়েছে। বৃষ্টির জলে সেই ফুলের ক্ষতি হয়। অনেক ফুল ইতিমধ্যেই ঝরে গিয়েছে। বৃষ্টির জল শুষে নেওয়ায় গাছে যেটুকু ফুল রয়ে গেছে তা পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ছত্রাক হতে পারে আমগাছে। ভয়ের বিষয়, এখনও শিলাবৃষ্টি বা কালবৈশাখীর সময় পড়ে রয়েছে।
রাহুল চক্রবর্তী, জেলা উদ্যানপালন দফতরের উপ অধিকর্তা
মাসের শুরুর দিকের সামান্য বৃষ্টিতে কোনও ক্ষতি হয়নি আমগাছে। বৃষ্টিতে পাতা থেকে ধুলো ধুয়ে যাওয়ায় বরং ভালোই হয়েছে গাছের। এর ফলে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার গতি বেড়ে যায়৷ তবে আজ ভোরের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনও আশাবাদী, সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হতে পারে এবছর।
এদিন বৃষ্টির শেষে রোদ উঠেছে৷ যা আমচাষের পক্ষে ভালো৷ রাহুলবাবু এখনই গাছে আর স্প্রে করতে বারণ করছেন। পরবর্তী সময়ে উদ্যানপালন দফতর থেকে রোগ পোকা দেখে স্প্রে করার কথা বলা হবে। অতিরিক্ত স্প্রে করা হলে মৌমাছি এবং কীটপতঙ্গ পরাগমিলন করতে পারে না৷ যদি সম্ভব হয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করা যেতে পারে৷ তিনি আরও বললেন, মালদার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ গাছে এখনও মুকুল আসেনি৷
Comments