কমছে গঙ্গা ও ফুলহরের দুরত্ব, পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা
পাড় কাটতে কাটতে গঙ্গা আর ফুলহর নদীর দূরত্ব কমেছে অনেকখানি। এই দুই নদী মিলিত হলে জেলার অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন রতুয়ার বিধায়ক। এরপরেই সেচ দফতরকে নজর রাখতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই কয়েকদিন আগে রতুয়ায় পরিদর্শনে যান জেলাশাসক। আজ ফের ওই এলাকায় যান জেলাশাসক সহ পুলিশসুপার, জেলাপরিষদের সভাধিপতি ও দুই বিধায়ক।
আজ দুপুরে পুলিশসুপার প্রদীপকুমার যাদব, জেলাপরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন, দুই বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ও আব্দুর রহিম বকসিকে নিয়ে ফুলহর নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া। দুই পঞ্চায়েত এলাকার ভাঙন বিধ্বস্ত মানুষ নিজেদের পরিস্থিতির কথা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের জানান। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গঙ্গা নদীতে ভাঙন রোধের কোনও কাজ হয়নি। নেতা-মন্ত্রীরা আসে, দেখে চলে যায়। তবে ফুলহর নদীতে কয়েক বস্তা বালি ফেলা হয়েছে। বস্তা বালি পড়েছে।
ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে জেলাশাসক জানান, আজ প্রশাসনের সমস্ত লোকজন ও দুই বিধায়ক রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা শোনা হয়েছে। নদীর ভাঙন রোধে দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা করা হয়েছে। নদী বাঁধ বাঁচাতে ২০১৯ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত এখানে অন্তত ২০ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে। আরও কিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে ফুলহর ও গঙ্গার মধ্যবর্তী অংশকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে সেচ দফতর এই কাজের প্রোজেক্ট রিপোর্ট জমা দেবে।
[ আরও খবরঃ তির-ধনুক হাতে রাস্তায় বনধ সমর্থনকারীরা ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
댓글