অভিভাবকহীন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল!
দুই মাসের বেশি সময় ধরে উপাচার্যহীন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়া, উদ্বোধনের পরেও হস্টেল চালু হওয়া সহ একাধিক সমস্যার কথা উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মুখে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন শান্তি ছেত্রী গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দায়িত্ব ছেড়েছেন৷ তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়নি। আর এতেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পড়ুয়া সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী বেশ কিছু ক্ষেত্রে উপাচার্যের অনুমোদন প্রয়োজন পড়ে৷ উপাচার্যের অনুমোদন না মেলায় স্নাতকোত্তর শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে৷ শুধুমাত্র পরীক্ষার ক্ষেত্রে নয়, যেসব ক্ষেত্রে উপাচার্যের অনুমোদন প্রয়োজন, সেসব কাজ করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, উপাচার্য না থাকার কারণে পঠনপাঠনে প্রভাব পড়ছে৷ পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে৷ সেশন পিছিয়ে যাচ্ছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্টেলের উদ্বোধন হলেও তা চালু হচ্ছে না৷ হস্টেল না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হলেন উপাচার্য৷ অভিভাবক ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে৷
উপাচার্য না থাকায় তাঁর অনুমোদন ছাড়া যে কাজ করা যায় না, সেই সমস্ত কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে না বলে মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদ ফাঁকা৷ তবে উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনে কোনও প্রভাব পড়েনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ প্রতিটি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ভরতি প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। যেসব কাজের ক্ষেত্রে উপাচার্যের অনুমোদন প্রয়োজন, সেই কাজগুলি করা যাচ্ছে না।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments