ক্লাসরুমে গণধর্ষণ, গঠিত তদন্ত কমিটি
স্কুলের ফাঁকা ক্লাসরুমে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গাজোলে থানার পুলিশ। এদিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও। এনিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্তকারী দল গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
ঘটনাটি ঘটেছে গাজোলের একটি জুনিয়র স্কুলে। ওই স্কুলে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন। গত শনিবার স্কুলে আসেননি ওই শিক্ষক। শিক্ষক না থাকায় ছাত্রীরা মিড-ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যায়। তবে মিড-ডে মিল খাওয়ার পরেও দুই ছাত্রী স্কুলে ছিল। অভিযোগ, সেই সময় বহিরাগত তিন যুবক স্কুলে ঢোকে। দুই ছাত্রীকে তারা টেনে দোতলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কোনোমতে এক ছাত্রী পালিয়ে যায়। ওই তিন যুবক অপর ছাত্রীকে দোতলার একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এদিকে, পালিয়ে যাওয়া ছাত্রী নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের লোকদের সমস্ত ঘটনা জানায়। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি স্কুলে ছুটে আসেন। রবিবার গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ছাত্রীর মা। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্কুলের শিক্ষক জানান,
অসুস্থতার জন্য শনিবার থেকেই তিনি স্কুল যেতে পারছেন না৷ ছাত্রীরা যাতে মিড-ডে মিল থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য পাশের প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষককে স্কুলের দরজা খুলে দিতে বলেছিলেন তিনি৷ ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা তিনি শুনেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্কুলের শিক্ষক, মিড-ডে মিলের রাঁধুনিদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবিরও। ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসনের তরফে তিন সদস্যের একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। সেই দলের নেতৃত্বে থাকছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। তদন্তকারী দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে জেলা প্রশাসন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios