পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে ধৃত গাজোলের যুবক
ভুয়ো পুলিশ অফিসার সেজে, পুলিশের বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার প্রতারণা চক্র গজিয়ে উঠেছিল কলকাতায়। গতকাল কলকাতা পুলিশ এই চক্রের চারজন প্রতারককে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে রবি মুর্মু, মালদা জেলার গাজোল ব্লকের ঘাকশোল গ্রামের বাসিন্দা।
গ্রামবাসীদের দাবি, রবি খুব ভালো খেলোয়াড় ছিল। খুব পরিশ্রম করে কলকাতা পুলিশে চাকরি পেয়েছিল। কিন্তু চাকরি পাওয়ার কয়েক বছর পর থেকেই সে পালতে যেতে থাকে। শোনা যায়, রবির পরে চাকরি চলে যায়। প্রায় ১৬ বছর ধরে গ্রামে আসেনি রবি। এমনকি বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বাড়িতে আসেনি। তবে উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে, চাকরি দেওয়ার নাম করে গ্রাম থেকেও অনেক টাকা তুলেছে সে।
জানা গেছে, ভুয়ো ডিএসপি সেজে চাকরি দেওয়ার নামে বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা তোলা হচ্ছিল। মূলত হোমগার্ড, কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলা হচ্ছিল। প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা এইভাবে তোলা হয়েছিল বলে, পুলিশের অনুমান। এক যুবক চাকরি পাওয়ার নামে টাকা দিয়েও চাকরি না পেয়ে কলকাতার বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদের সোনাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানা (২৪), উত্তর ২৪ পরগণার সোনাটিকরি গ্রামের বাসিন্দা শুভ্রনাগ রায় (৪৪), পশ্চিম মেদিনীপুরের খিরিন্দা গ্রামের বাসিন্দা পরিতোষ বর্মন (৫০) ও মালদার ঘাকশোল গ্রামের বাসিন্দা রবি মুর্মুকে।
রবির মা ছামি হেমব্রম জানান, রবি কলকাতা পুলিশে চাকরি পেয়েছিল। কিন্তু কয়েকবছর পর সেই চাকরি চলে যায়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখত না রবি। চাকরি চলে যাওয়ার পর বাড়িতে টাকাও পাঠায়নি। গতকাল জানা যায়, প্রতারণার দায়ে রবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবি সমস্ত টাকা ফিরিয়ে দেবে। ওকে সুস্থ জীবনে ফেরার একটা সুযোগ দেওয়া হোক।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments