দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে। ওই ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তারই এক বন্ধুর বাবার বিরুদ্ধে৷ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
মৃত ছাত্রীর নাম স্নেহা সাহা (১৭)৷ বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তুলসিহাটা গ্রামের মস্তান মোড় এলাকায়। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নেহার খুব কাছের বন্ধু জ্যোতি শাহ৷ জ্যোতি তুলসিহাটায় দাদুর বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করত৷ কিছুদিন আগে জ্যোতি তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে৷ এই ঘটনায় স্নেহাকে দায়ী করে জ্যোতির পরিবার৷ অভিযোগ, জ্যোতির বাবা মনোজ শাহ এনিয়ে স্নেহাকে দোষারোপ করতেন৷ এমনকি তিনি নাকি ফোনে নানা ধরনের হুমকিও দিতেন৷ পরিবারের দাবি, মনোজবাবুর হুমকিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় স্নেহা৷
স্নেহার বাবা মিন্টু সাহা জানান, কিছুদিন আগে জ্যোতি নামে মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে তার প্রেমিককে বিয়ে করে৷ এর জন্য তাঁর মেয়েকে দায়ী করতে থাকে জ্যোতির বাবা৷ ২৭ নভেম্বর রাতে তাঁর মেয়েকে ফোন মারফৎ ১১ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য বলে, নয়তো মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়৷ জ্যোতি পালিয়ে যাওয়ার পর ওরা আমার মেয়ের নামে থানায় অভিযোগ করে৷ যদিও পুলিশ তাঁদের সহযোগিতা করেছে৷ মেয়ের সিমকার্ড পরিবর্তন করা হলেও কিন্তু ওরা মেয়ের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে যোগাযোগ করে হুমকি দিচ্ছিল৷ শেষ পর্যন্ত তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে৷ এনিয়ে তিনি জ্যোতির বাবার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
コメント