কাজ না করে ১০০ দিনের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুরে
নিকাশি নালার জন্য ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। অথচ এখনও জলে ডুবে শতাধিক বিঘা জমি। জলা জমির পাশেই ১০০ দিনের কাজের খতিয়ানের ফলক লাগানো হয়েছে। জমি তলিয়ে যাওয়ায় কাজ হারিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। বাধ্য হয়ে তলিয়ে যাওয়া জমিতেই বিক্ষোভ কৃষকদের। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রামপঞ্চায়েতের পশ্চিমপাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমপাড়া এলাকায় বিস্তীর্ণ চাষের জমির পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে সরু খাল। এলাকার জল নিকাশের কাজে লাগে এই খাল। জলের সাথে নোংরা আবর্জনাও যায়। সেই খাল সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন অংশ বুজে গিয়েছে। জল বেরোবার পথ নেই। সেই জল বর্ষায় উপচে গিয়ে ভাসিয়েছে একরের পর একর জমি। গ্রামের লোকজন নিজেরা চেষ্টা করে জল নিকাশের কিছু চেষ্টা করলেও জল নামানো যায়নি। অভিযোগ, কুশিদা গ্রামপঞ্চায়েতের তরফে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ওই খাল সংস্কারের জন্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু সংস্কারের কোনও কাজ না করেই সেই টাকা উধাও হয়ে যায়। কাজ না করেই পঞ্চায়েতের তরফে সেই জলা জমিতেই ফলক তৈরি করে সেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে এলাকার কৃষকরা।
অন্যদিকে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে কুশিদা গ্ৰামপঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মোহম্মদ নূর আজম বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা আর্বজনা ফেলে খাল বুজিয়ে দিয়েছেন। খাল সংস্কার হয়েছে। প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সঠিক নয়। তবে সমস্যা এখনও আছে। ৫০-৬০ বিঘা জমি এখনও জলে ডুবে আছে। জল কমলেই ওই নালা আবার সংস্কার করা হবে।
[ আরও খবরঃ দলীয় প্রধানকে অপসারণ করল তৃণমূল সদস্যরা ]
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক বিডিও অনির্বাণ বসু জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হবে। যদি এরকম কোনও সমস্যা থাকে তাহলে দ্রুত সেই সমস্যার সমাধান করা হবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments