দেওয়াল ভেঙে সোনার দোকানে চুরি, অভিযোগ থানায়
শেষ মাঘে এখনও জব্বর শীত রাতে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে সোনার দোকানের দেওয়াল ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর কনুয়া এলাকায়। চুরির পরে অভিযোগ উঠেছে বারবার থানায় ফোন করা হলেও ঘটনাস্থলে আসেনি পুলিশ। এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর কনুয়া এলাকার সোনার ব্যবসায়ী নবকুমার সাহার একটি সোনার দোকান রয়েছে। গতকাল গভীর রাতে তাঁর দোকানের দশ ইঞ্চির দেওয়াল ফাটিয়ে দোকানে ঢুকে দুষ্কৃতীরা। তারপর দীর্ঘ সময় ধরে চলে এই চুরির অপারেশন। দোকানে মজুত থাকা রুপো, চাঁদি ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সকালে দোকানের মালিক দোকান খুলতে এসে ভিতর ঢুকে দেখেন সমস্ত সোনাদানা চুরি গেছে। এরপর হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, থানায় জানান সত্ত্বেও ঘটনাস্থলে আসেনি পুলিশ। এই রকম দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
চুরির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা দোকানের মালিক নবকুমার সাহা জানান, রাতে দোকান বন্ধ বাড়ি যাই। সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি দোকানের পিছন দিকের দেওয়াল ফাটানো হয়েছে, দোকানে মজুত থাকা সোনা-চাঁদির গয়না চুরি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক তিন লক্ষ টাকা। এলাকায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি আমরা। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ এলাকায় রাতে পুলিশি টহলদারি বাড়ানো হোক।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments