এবছর রাজ্যে একমাত্র রাষ্ট্রপতি সম্মান পাচ্ছেন মালদার হরিস্বামী দাস
মালদার মুকুটে আরও একটি পালক জুড়ে দিলেন শোভানগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাস। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষক হিসাবে সম্মানিত হতে চলেছেন তিনি। সেদিন তাঁকে সেই সম্মাননা প্রদান করবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এবার দেশের ৪৪ জন শিক্ষককে সেই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। এই রাজ্য থেকে একমাত্র হরিস্বামীবাবুর সেই সম্মাননা পেতে চলেছেন। তাঁর এই প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত জেলার শিক্ষামহল।
২০০১ সালে শোভানগর হাইস্কুলে জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা হরিস্বামীবাবু। ২০১০ সালে সেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন তিনি। ২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে পাকাপাকিভাবে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন। ২১ বছরের কর্মস্থলের প্রতি তাঁর আলাদা টান। তাই শুধু তিন হাজার পড়ুয়া নয়, এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন নিয়েও তাঁর মাথায় খেলে বেড়ায় একাধিক ভাবনা। সেই ভাবনা থেকেই এলাকায় প্লাস্টিক বিরোধী সচেতনতায় যেন এক অভ্যুত্থান হয়েছে। পরিবেশ দূষণ নিয়ে মানুষ জানতে শিখেছে। গঙ্গা ভাঙন এলাকায় স্কুল হওয়ায় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ কীভাবে আটকানো যায়, এখন তা নিয়েই চিন্তায় মগ্ন তিনি।
করোনাকালে স্কুলের একজন পড়ুয়াও যাতে শিক্ষা থেকে পিছিয়ে না পড়ে তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছেন হরিস্বামীবাবু। হাইব্রিড লার্নিং ব্যবস্থা তার অন্যতম। এই পদ্ধতিতে ৫০ শতাংশ অথবা যে সংখ্যক পড়ুয়াকে করোনাবিধি মেনে ক্লাসরুমে বসানো যাবে, সেই সংখ্যক পড়ুয়াকে স্কুলে এনে বাকিদের অনলাইনে একইসঙ্গে পাঠ দান করা হবে। গরিব পড়ুয়াদের যাতে পাঠ্যবই কিনে পড়তে না হয় তার জন্য সমস্ত পাঠ্য বইয়ের কিউ আর কোড স্কুলের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ভাঙনপ্রবণ এলাকার ছেলেমেয়েরা যাতে চাকরি করে বা স্বনির্ভর হয়ে পরিবারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে পারে, তার জন্যও তাঁর ভাবনার শেষ নেই। তাঁর আমলে একাধিক পুরস্কার জুটেছে স্কুলের ঝুলিতে। তিনি একাধিক সম্মাননায় ভূষিত। জাতীয় শিক্ষক সম্মাননা প্রাপ্তির পর এখন তাঁর দৃষ্টি আরও সামনে…
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários