top of page

বানভাসিদের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির মানিকচকে

বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিন জলবন্দি এলাকায় পৌঁছে সমস্ত মানুষের শারীরিক পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়। নেতৃত্বে ছিলেন মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. হেম নারায়ণ ঝাঁ। দুর্গত মানুষেরা এই চিকিৎসার পরিসেবা পেয়ে খুশি হলেও সরকারি ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়া নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ পরিবারগুলি।


মালদার মানিকচক ব্লকের প্রায় কুড়িটি গ্রাম বর্তমানে জলমগ্ন রয়েছে। গঙ্গা নদীর জল বিপদসীমার ছাড়িয়ে জল ঢুকেছে নদী তীরবর্তী বহু গ্রামে। এই অবস্থায় কার্যত দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে চলে প্লাবিত হাজার হাজার মানুষ। মানিকচক, গোপালপুর, ধরমপুর সহ ভূতনির বিস্তীর্ণ এলাকায় জলমগ্ন রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ জলের তলায় দিন কাটছে। বহু পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে ত্রিপলের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার মানিকচক অঞ্চলের গঙ্গার জলে প্লাবিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য পরিসেবা দিতে উদ্যোগ নেয় মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছন মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. হেম নারায়ণ ঝাঁ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি সরকারিভাবে ওষুধ বিতরণ করা হয় জলবন্দি পরিবারগুলিকে।


স্বাস্থ্য পরিসেবা পেয়ে খুশি হলেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ রয়েছে বন্যা কবলিত মানুষদের। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনোরকম খাদ্যসামগ্রী বিলি করা হয়নি। ত্রিপল রাতের অন্ধকারে নিজের কাছের মানুষদের বিলি করা হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে।



মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. হেম নারায়ণ ঝাঁ জানান, বহু পরিবার জলের তলায় রয়েছে। জলে প্লাবিত থাকায় এলাকায় জ্বর সর্দি-কাশি সহ বিভিন্ন রোগের দেখা মিলেছে। তবে বড়ো ধরনের কোনও রোগের এখনও দেখা মেলেনি। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সকলস্তরের কর্মীদের অ্যালার্ট করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতর পরিসেবা দিতে তৎপর রয়েছে। আগামী দিনে ভূতনি এলাকার মানুষকে পরিসেবা প্রদান করা হবে।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Hozzászólások


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page