হাইকোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েতে দুর্নীতির তদন্তে বিডিও
এনআরইজিএস প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খরবা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, নির্মাণ সহায়ক সহ পঞ্চায়েতে কর্মীদের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করলেন চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের বিডিও। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী।
উল্লেখ্য, খরবা গ্রামপঞ্চায়েতে বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সদস্য মুরতুজ আলম বারবার একশো দিনের কাজ, কলা গাছ, আম গাছ লাগানোর টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্নীতির তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ২৯ তারিখ তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের পর তদন্ত শুরু করেছেন চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য।
খরবা গ্রামপঞ্চায়েতের কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মুরতুজ আলমের অভিযোগ, মৃত ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করে একশো দিনের প্রকল্পে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন পঞ্চায়েতের প্রধান সহ অন্যান্যরা।
যদিও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান পারভিনা খাতুনের স্বামী মংলু শেখ। তিনি বলেন, বিরোধী দলনেতা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। বিডিও তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।
জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, পশ্চিমবাংলার পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে হাইকোর্ট না বললে কোনও কিছুই হয় না। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, কেউ দুর্নীতি করলে দল পাশে থাকবে না। প্রশাসন তদন্ত করছে। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।
[ আরও খবরঃ টিকাকরণে গতি বাড়াতে ‘টিকা এক্সপ্রেস’ দৌড়বে মালদায় ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments