চাষের জমি থেকে উদ্ধার ঐতিহাসিক রূপার মুদ্রা
আলুচাষ করতে গিয়ে উঠে এল ইতিহাস। জমিতে কোদাল চালাতে গিয়ে ১৬টি রূপার মুদ্রা উদ্ধার করেন শ্রমিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে গাজোলের পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আটগামা গ্রামে। খবর পেয়ে ওই শ্রমিকদের বাড়িতে গিয়ে মুদ্রাগুলি নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে পুলিশ। বিশেষজ্ঞদের মত, উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলি বাংলার ইলিয়াস শাহি বংশের তৃতীয় সুলতান গিয়াসুদ্দিন আজম শাহের আমলের। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জেলা জুড়ে শোরগোল পড়েছে।
গত বুধবার ওই গ্রামের এক আদিবাসী পরিবারের জমিতে আলুর বীজ বপন করতে গিয়েছিলেন কয়েকজন শ্রমিক৷ তাঁরাই জমি থেকে ওই রূপার মুদ্রাগুলি উদ্ধার করেন। এক শ্রমিক মিঠুন মণ্ডল বলেন, আলুর বীজ লাগানোর জন্য জমিতে আল তৈরি করছিলাম৷ তখনই কিছু মুদ্রা দেখতে পাই। মুদ্রায় লেখা ভাষা বুঝতে পারিনি। আমি চারটি মুদ্রা পেয়েছিলাম। সেগুলো বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। সন্ধেয় পুলিশ গ্রামে এলে সেই মুদ্রাগুলি পুলিশের হাতে তুলে দিই।
আরেক শ্রমিক বাপি মণ্ডল জানান, আমি সাতটি মুদ্রা পেয়েছিলাম৷ পয়সাগুলোর গায়ে আরবি ভাষায় কিছু লেখা রয়েছে৷ আদিনা মসজিদে যেমন লেখা রয়েছে৷ আমাদের মনে হয়, হয়তো এখানে কারও ঘর ছিল৷ তারাই কোনও পাত্রে পয়সাগুলি রেখেছিল৷ ট্র্যাক্টরের রোটারে সেই পাত্র ভেঙে পয়সাগুলি ছড়িয়ে পড়েছে৷ রাতে প্রশাসনের লোকজন গ্রামে আসলে আমি ওই মুদ্রাগুলি তাদের হাতে তুলে দিয়েছি৷
গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের থেকে মুদ্রাগুলি উদ্ধার করে আনা হয়েছে। মোট ১৬টি মুদ্রা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলি সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments