তথ্যমিত্রে বসে আধার সংযোজনের কাজ, আবাস যোজনায় কারচুপির অভিযোগ
আবাস যোজনায় ঘর নির্মাণের জন্য আবেদনপত্রে আধার সংযোজন নিয়ে গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান ও এক পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন শাসকদলের নেতাকর্মীরা। বুধবার রাতে চাঁচল ১ ব্লকের কংগ্রেস পরিচালিত মকদমপুর পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও এক কর্মীর বিরুদ্ধে আধার সংযোজনের অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ চলে চাঁচল ১ ব্লকের তথ্যমিত্র কেন্দ্রের সামনে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ওই গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান মুস্তাক আলম ও জিআরএস চন্দন থোকদার।
শাসকদলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ওই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রায় তিন হাজার উপভোক্তা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান শাসকদলের নেতাকর্মীদের দেওয়া নামগুলোকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র কংগ্রেসের সংগ্রহ করা উপভোক্তাদের আধার সংযোজন করছেন। এদিন আধার সংযোজনার শেষ তারিখ ছিল তাও আমরা জানতে পারি নি। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মীরা পঞ্চায়েতে কোনো নোটিফিকেশন জারি না করেই রাতের অন্ধকারে এই তথ্যমিত্র কেন্দ্রে আধার সংযোজনের কাজ করছিল। আমরা তা হাতেনাতে ধরে ফেলেছি। তথ্যমিত্র কেন্দ্র থেকে বেশকিছু নথিপত্র ও একটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে চাঁচল থানায় জমা করেছে শাসকদলের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী জানান, ওই গ্রামপঞ্চায়েতের জিআরএস চন্দন থোকদার রাতের অন্ধকারে তথ্যমিত্র কেন্দ্রে বসে আবাস যোজনার আধার সংযোজনের কাজে কারচুপি করছিল এবং আমরা তা হাতেনাতে ধরে ফেলেছি। আমরা ব্লক প্রশাসনের কাছে দাবি জানাব, ওই জিআরএসকে অতিসত্বর ওই পঞ্চায়েত থেকে বদলি এবং অপসারণ করার জন্য।
অভিযুক্তরা জানান, যে সকল উপভোক্তারা আবাস যোজনা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন অধিকাংশের আধার সংযোজনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু প্রায় ৮০০ নাম এখনো নথিভুক্ত করা যায়নি। বুধবার ছিল আধার সংযোজনের শেষ তারিখ। পঞ্চায়েতে ইন্টারনেট পরিসেবা গোলযোগ থাকার কারণে তাই এই তথ্যমিত্র কেন্দ্রের সাহায্য নিয়ে কাজ করছিলাম। এই সময় শাসকদলের কিছু নেতাকর্মীরা এসে গোলমাল পাকায়।
তবে এ বিষয়ে ওই তথ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মীর গোলাম মোহম্মদ আশরাফ জানান, আমার অনুমতি ছাড়াই ওই কেন্দ্রে এধরনের কাজ চলছিল, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। যদি তারা এমন কাজ করে থাকে আমি ওই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে ব্লক আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানাব।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments