মানিকচক-রাজমহল গঙ্গা সেতুর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন ঝাড়খণ্ডের
মানিকচক থেকে রাজমহল পর্যন্ত গঙ্গার উপর নতুন সেতু তৈরির জন্য কেন্দ্র সরকারকে আবেদন জানিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গের তরফে এমন কোনো আবেদন না যাওয়ায় এনিয়ে আর আলোচনা এগোয়নি বলে জানা যাচ্ছে। গঙ্গার উপর এই সেতু নির্মাণ হলে দুই রাজ্যের ব্যাপক আর্থিক উন্নতি হবে তা মানছেন দুই তরফের জনপ্রতিনিধিরা।
জানা গিয়েছে, গত বছর মে মাসে ঝাড়খণ্ড সরকারের সড়ক নির্মাণ মন্ত্রকের সচিব সুনীল কুমার ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যানকে রাজমহল থেকে মানিকচক পর্যন্ত গঙ্গার উপর নতুন সেতু তৈরির জন্য আবেদন জানান। আবেদনে তিনি জানান, বর্তমানে বিহারের মনিহারী এবং ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের মধ্যে গঙ্গার উপর চার লেনের ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে৷ সেই সেতুর আপস্ট্রিমে ৮২ কিলোমিটার দূরে ভাগলপুর ও সাহেবগঞ্জের ডাউনস্ট্রিমে ৭৯ কিলোমিটার দূরে ফরাক্কায় রয়েছে গঙ্গার সেতু৷ মধ্যের এই বিস্তীর্ণ অংশে গঙ্গার উপর কোনও সেতু নেই৷ তবে সাহেবগঞ্জ থেকে মাত্র ৩৯ কিলোমিটার দূরে রাজমহল ও মানিকচক ঘাটের মধ্যে গঙ্গার উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটবে৷
আরও জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড সরকারের সড়ক নির্মাণ মন্ত্রকের সচিবের এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু এটি দুই রাজ্যের বিষয়, তাই দুই রাজ্যের তরফেই এই সেতুর প্রস্তাব কেন্দ্রকে পাঠাতে হবে৷
ঝাড়খণ্ডের রাজমহল কেন্দ্রের বিধায়ক আনন্দ ওঝা জানান,
রাজমহল ও মালদার মানিকচক ঘাটের মধ্যে গঙ্গার উপর সেতু নির্মাণ হলে ব্যাবসায়িক যোগাযোগ আরও আরও বাড়বে৷ পর্যটন শিল্পের বিকাশেও এই সেতু দুই রাজ্যের কাছে সহায়ক হবে৷ দুই রাজ্যেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে৷ এই সেতু নির্মাণের জন্য ঝাড়খণ্ড সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে৷ তবে এনিয়ে এখনও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কোনও প্রস্তাব তাঁদের কাছে যায়নি৷ যেহেতু এই সেতুর সঙ্গে দুই রাজ্য জড়িয়ে রয়েছে, তাই এব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও প্রস্তাব আসা প্রয়োজন৷ সেই প্রস্তাব এলেই তাঁরা বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন৷
এই সেতু নির্মাণ হলে দুই রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়ে আনন্দবাবুর সঙ্গে একমত হয়েছেন মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তিনি জানান, কেন্দ্রের পাশাপাশি গঙ্গার উপর নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ঝাড়খণ্ড সরকার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে লিখিত আবেদন জানাতে পারে৷ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে৷ এই সেতু নির্মাণ হলে দুই রাজ্যের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments