top of page

বিধায়কের দ্বারস্থ চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের বঞ্চনার কাহিনী পৌঁছে দিতে ইংরেজবাজারের বিধায়কের দ্বারস্থ হলেন চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার মালদা শহরের একটি হোটেলে ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির কাছে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাঁরা। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন শ্রীরূপা।


পায়েল সরকার নামে এক চাকরিহারা শিক্ষক জানান, নেতাজি ইনডোরের ঘটনাপ্রবাহের পর আমরা সকলেই হতাশাগ্রস্থ৷ চাকরি ফিরে পেতে আমরা আন্দোলন, আমরণ অনশন সহ যা যা করতে তা করতে প্রস্তুত। সামাজিকভাবে আজ আমরা যে পরিস্থিতিতে এসে পৌঁছেছি, সেখানে জনপ্রতিনিধিদেরও আমাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত৷ সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর কাছে এসেছি৷ আমাদের চাকরি চলে গিয়েছে, আমরা এখনও তা ভাবতেই পারছি না। এই পুরো ঘটনায় আমাদের রাগ, ক্ষোভ হচ্ছে। কিন্তু তার থেকেও বেশি আমরা অপমানিত বোধ করছি, লজ্জা পাচ্ছি। এই পরিস্থিতির জন্য প্রত্যেকটা মানুষ দায়ী৷ যাঁরা টাকা দিয়েছেন, যাঁরা সেই টাকা নিয়েছেন, আর এখন যাঁরা এই ঘটনাকে লুকোনোর চেষ্টা করছেন সকলেই। পুরো সমাজ ব্যবস্থাটাতেই ঘুণ ধরে গিয়েছে৷ যা হয়েছে, তা বহুদিনের সুপরিকল্পিত একটা প্রসেস৷


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষক জানান, কী করব, কোথায় যাব, কিছুই বুঝতে পারছি না৷ নিজেদের বিপদের কথা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে আমরা ইংরেজবাজারের বিধায়কের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন৷ আইনি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন৷ এসএসসি বোর্ড যোগ্য আর অযোগ্যদের তালিকা দিচ্ছে না বলেই এই ঘটনা৷ সুপ্রিম কোর্টেও রাজ্য সরকার যোগ্য আর অযোগ্যদের পৃথকীকরণ সঠিকভাবে দেয়নি৷ রাজ্য মন্ত্রীসভার ক্যাবিনেট দুর্নীতি করল, তাদের কোনও শাস্তি হল না৷ অথচ তাদের দুর্নীতির কারণে আজ আমাদের এই অবস্থা।


শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি জানান, এটা একটা বড় রিক্রুটমেন্ট স্ক্যাম৷ এই স্ক্যামের মাস্টারমাইন্ড মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ক্যাবিনেট৷ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে, রাজ্যের জন্যই সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের জায়গাটা হারিয়ে গিয়েছে৷ আমার প্রশ্ন, তথ্যপ্রমাণগুলো গেল কোথায়? কে বা কারা এসব নষ্ট করল? তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে৷ শিক্ষকদেরও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে৷ যে বা যাঁরা সেই অধিকার নিয়ে খেলা করবে, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Kommentare


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page