top of page

রান্নাঘর উধাও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

বাড়ি সংলগ্ন দোকানের সামনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর থাকায় সেই রান্নাঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক পরিবারের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রাঁধুনি রান্না করতে গেলে তাঁকে হাঁসুয়া দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের অলিহোন্ডা গ্রামপঞ্চায়েতের মহব্বতপুর গ্রামে।


মহব্বতপুর গ্রামে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। এলাকার গর্ভবতী, প্রসূতি ও সদ্যোজাতের পুষ্টির অন্যতম ভরসা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘরের পেছনে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা নুরবানু বেগমের দোকান। অভিযোগ, দোকানের সামনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর হওয়ায় ওই রান্নাঘর গতকাল সন্ধেয় ভেঙে দেন নুরবানু ও তার পরিবারের লোকজন। আজ সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন এলাকা থেকে আস্ত রান্নাঘর উধাও। খোলা আকাশের নিচেই গর্ভবতী, প্রসূতি ও বাচ্চাদের জন্য রান্না করার চেষ্টা করতেই নুরবানু হাঁসুয়া নিয়ে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরেই প্রতিবাদে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামীণ সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা।


kitchen-missing-from-Anganwadi-Centre-in-chanchal
রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান মহব্বতপুর গ্রামের বাসিন্দারা

মহব্বতপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী চন্দনা দাস বলেন, মহব্বতপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর। কিন্তু এলাকার প্রতিবেশী মহিদুর ইসলাম ও তার পরিবারে লোকজন সেই রান্নাঘরটি ভেঙে ফেলেছেন। রান্নাঘর না থাকায় শিশু ও মায়েরা দুই দিন ধরে পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না। রান্না করতে গেলে হাঁসুয়া নিয়ে তেড়ে আসছে ওই পরিবারের লোকজন।


চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের সিডিপিও অলোক মণ্ডল জানিয়েছেন,

যারা রান্নাঘর ভেঙেছে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হচ্ছে। বিষয়টি বিডিওকেও জানানো হয়েছে।

মহিদুরের স্ত্রী নুরবানু বেগম জানান, তাদের বাড়ির সামনে দোকান রয়েছে। দোকানের সামনে গ্রামবাসীরা জোর করে রান্নাঘর করেছে। দোকানের সামনে রান্নাঘর থাকায় দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দোকান বন্ধ হয়ে গেলে তারা সংসার চালাবেন কী করে?



আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page