গোষ্ঠী সংঘর্ষে নিগৃহীত কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি
রাত থেকেই চোরাগোপ্তা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল জেলা টিএমসিপির দুই গোষ্ঠী। এক গোষ্ঠীর নেতা প্রাক্তন সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। অন্য গোষ্ঠীর নেতা প্রসূন রায়। সম্প্রতি এসএফআই থেকে টিএমসিপিতে যোগ দেন প্রসূন। তারপরেই তাকে সংগঠনের জেলা সভাপতি করে দেওয়া হয়। যা মেনে নিতে পারেনি আরেক পক্ষ। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে মালদা স্টেশনে ক্ষমতাহীন গোষ্ঠীর ৪ জনকে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সদস্যরা। সেখানে একজনকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সেখান থেকেই সংঘর্ষের শুরু।
সেই সংঘর্ষ নেমে এল রাস্তাতেও। রাজ্য সভানেত্রীর সামনেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠী। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে নিগৃহীত হন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি। এই ঘটনায় এদিন চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলার রাজনৈতিক মহলে। সব দেখেশুনে ক্ষুব্ধ টিএমসিপির রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত বিবাদমান দুই পক্ষকে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ বাহিনী সেখানে মোতায়েন থাকলেও বিবাদমান দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি পুলিশ। সভার ভিতরেই শুরু হয়ে যায় মারামারি। তা থামাতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়েন কৃষ্ণেন্দুবাবু।
আগামী ২৮ অগস্ট টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও সেদিন কলকাতার শহিদ মিনারে সংগঠনের পক্ষ থেকে সমাবেশ করা হবে। সেই সমাবেশ সফল করতেই এদিন মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামের দুর্গাকিঙ্কর সদনে একটি সভা ডাকেন জেলা টিএমসিপি সভাপতি প্রসূন রায়। সভায় যোগ দিতে গতকাল রাতে দার্জিলিং মেলে মালদায় আসেন জয়া দত্ত।
এদিন বেলা ১২টা থেকে সভা শুরুর কথা থাকলেও তা শুরু হতে প্রায় ২টো বেজে যায়। প্রথমদিকে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, দুই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ ও সাবিত্রী মিত্র, বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে সেই সময় অডিটোরিয়ামের বাইরে সংঘর্ষ চলতে থাকে। সমস্যা হতে পারে জেনে আগে থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে মোতায়েন থাকলেও বিবাদমান দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে সভার ভিতরে জয়ার উপস্থিতিতে অম্লানবাবু যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন এক টিএমসিপি কর্মী বিশ্বজিৎ মণ্ডল মঞ্চে উঠে বলতে শুরু করেন, তাঁকে কেন মারা হল। এবার সভার ভিতরেই শুরু হয়ে যায় মারামারি। তা থামাতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়েন কৃষ্ণেন্দুবাবু। পরে তিনি বলেন, তিনি সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে নিগৃহীত হন। দলীয় ছাত্র সংগঠনের এমন আচরণে তিনি ব্যথিত।
সব দেখেশুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জয়া দত্তও। তিনি বিবাদমান দুই পক্ষকে একজোট হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। তবে এতকিছুর পরেও তাঁর মন্তব্য, এদিনের ঘটনায় তাঁদের সংগঠনের কেউ জড়িত নয়। এসব সিপিএম আর কংগ্রেসের বেনোজলের কাণ্ড।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments