মাধ্যমিক চলাকালীন প্রসববেদনা, পরীক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হল মেডিকেলে
মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসে হঠাৎ প্রসববেদনা। তড়িঘড়ি ওই পরীক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হল মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজারের জহুরাতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
মহদীপুর গার্লস হাইস্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছিল জহুরাতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরীক্ষা শুরু হওয়ায় এক ঘণ্টা পর এক পরীক্ষার্থীর প্রসববেদনা শুরু হয়। তড়িঘড়ি স্কুলের শিক্ষকরা বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানান। জেলা প্রশাসনের তরফে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এক চিকিৎসক, এক শিক্ষিকা ও মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার ওই পরীক্ষার্থীকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মাতৃ-মা বিভাগে নিয়ে যান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,
১৬ বছর ৬ মাসের ওই পরীক্ষার্থীর সিজার করা হয়। এই ঘটনায় বাল্যবিবাহ নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাল্যবিবাহ রুখতে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প চললেও গ্রাম্য এলাকায় এখনও বাল্যবিবাহ হচ্ছে।
অন্যদিকে উত্তর মালদায় মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে দুই পরীক্ষার্থী। তড়িঘড়ি তাঁদের চাঁচল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের তরফে সেখানেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় ওই দুই পরীক্ষার্থীর।
চাঁচলের কলিগ্রাম হাইস্কুলে পরীক্ষার সিট পড়েছিল চাঁচল রাণী দাক্ষায়ণী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অদিতি প্রামাণিকের। পরীক্ষা শুরু হওয়ায় কিছু সময় পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে অদিতি। তড়িঘড়ি তাকে সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে, ওই স্কুলেরই আরেক পরীক্ষার্থী মেহেজাবিন জাহিদি পরীক্ষার শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তড়িঘড়ি তাকেও নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান জেলাপরিষদের সভাধিপতি ও চাঁচল থানার আইসি। তবে জাহিদি আর পরীক্ষা দিতে পারেননি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários