এক সপ্তাহের লক-আপে ইংরেজবাজার, ওল্ড মালদা
মালদায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাটা রোজ দিন বেড়েই চলেছে। শেষ সাতদিন দিনপ্রতি গড় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ জন। করোনার লাগাম টানা দুষ্কর হয়ে পড়ছে৷ এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন, বণিক সভা ও গাড়ি মালিকদের মিলিত সিদ্ধান্তে আগামী বুধবার থেকে জেলার দুই পুরসভা এলাকায় ফের সম্পূর্ণ লকডাউন শুরু হচ্ছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান আগামী সাতদিনের জন্য না খোলার নির্দেশ জারি করতে চলেছে প্রশাসন।
সোমবার জেলা প্রশাসনের এক বৈঠকে পুনরায় লকডাউন করার বিষয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্তগুলি রাজ্য সরকারের অনুমোদনের জন্য আপাতত নবান্নে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের মত মিললেই কঠোরভাবে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে নামছে জেলা প্রশাসন। তবে সাতদিনের লকডাউনে সংক্রমণের মাত্রা না কমলে এই সময়সীমা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে তারও আঁচ মিলেছে এদিন।
বৈঠক শেষে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু জানালেন, আগামী ৮ জুলাই থেকে সাতদিনের জন্য ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা পুরসভা এলাকায় জামাকাপড়, সোনার গহনা, ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, হার্ডওয়ার এবং মদের দোকান বন্ধ থাকবে। রাস্তার কোনও ফলের দোকান, চায়ের দোকান, মিষ্টির দোকান এই দিনগুলিতে খোলা যাবে না। সমস্ত সবজি ও মাছের বাজার সকাল ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের দোকান শুধু খোলা থাকবে। অনলাইন ডেলিভারি হবে এইসময়। গৌড়কন্যা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে রথবাড়িতে বাজার কলকাতা শপিংমলের সামনে দাঁড়াবে। এরপর পুরাতন মালদা পুরসভা পার হয়ে পরবর্তী স্টপেজে দাঁড়াবে। জেলাশাসক শহরের তিনটে জায়গা থেকে কুড়িটি করে টোটো চলাচলের অনুমতি দেবেন। জরুরি প্রয়োজনে এই টোটোগুলি যাতায়াত করা যাবে।
টাইমলাইন
ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, জেলাশাসক ও পুলিশসুপারের নেতৃত্বে এবং মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স, বাস মালিক, টোটো মালিক এবং আরটিআই ও স্বাস্থ্য দফতরের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে মালদা জেলার দুই পুরসভা এলাকায় লকডাউন আরও কঠোরভাবে পালন করা হবে। মালদা জেলায় সংক্রমণের বৃদ্ধির গতিতে লাগাম টানতে মানুষের একত্রিত হওয়া বন্ধ করতে হবে। আজকের মিটিংয়ে স্থির হওয়া নতুন নিয়মাবলী রাজ্য সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য জেলাশাসক পাঠাবেন। অনুমোদন পেয়ে গেলে এই দুই এলাকার জনসাধারণকে মাইকিং করে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
টপিকঃ #CoronaVirus #Lockdown
Comments