দেবীর দশ মাথা, দশ হাত, দশ পা
ব্রিটিশ শাসন রুখতে, নিজেদের শারীরিকভাবে মজবুত করতে ব্যায়াম সমিতির সঙ্গে কালি মায়ের আরাধনা শুরু করেছিলেন স্থানীয়রা। সেই থেকে চলে আসছে এই পুজো। এবারে ৮৯তম বর্ষ।
শক্তির আরাধনায় তাদের আরাধ্য ছিলেন দশ মাথার মহাকালী। সেই পুজো এখনও হয়ে আসছে৷ তবে পুড়াটুলি থেকে পুজোর স্থান পরিবর্তন হয়ে এসেছে শহরের গঙ্গাবাগ মাঠে। সারা জেলায় এই পুজোর দশ মাথার মহাকালী নামে পরিচিত।
কালী মূর্তিতে এখনও কিছুটা বিশেষত্ব রয়েছে। দেবীর দশমাথা, দশ হাত, দশ পা৷ তবে এই প্রতিমায় শিবের কোন অস্তিত্ব নেই। দেবীর পায়ের তলায় রয়েছে অসুরের কাটা মুন্ডু। প্রতি হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র।
ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতির সহ সভাপতি অজিত শেঠ বলেন, প্রথম থেকেই এই পুজো প্রথা মেনে অমাবস্যার পরিবর্তে চতুর্দশ তিথিতে হয়ে আসছে। পাঁঠা বলি দিয়ে তার রক্ত উৎসর্গের মধ্য দিয়ে পুজো শুরু হয়। বলি শেষে শোল মাছের টক রান্না করে দেওয়া হয় মাকে। এই বছর ৮৯ তম বছরে পা দিয়েছে পুজো। চতুর্দশী সকালে মৃৎশিল্পীরঘর থেকে শোভাযাত্রা সহকারে মন্দির পর্যন্ত মাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এবছরে তাদের চমক ডান্ডিয়া, ব্যাকপাইপার, রাইবেস ডগর ও ভাঙরা সহ শহর পরিক্রমা করা৷ সেই মতই বিভিন্ন রকমের বাদ্য, ঢাক ও নৃত্য সহকারে মাকে নিয়ে শোভাযাত্রা করেন ক্লাব কর্তারা। এই পুজো মূলত দিনের বেলায় করা হয়। চলে ছয় দিন ব্যাপী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments