তিরন্দাজিতে এশিয়া কাপে সোনা জিতলেন মালদার জুয়েল
এশিয়া কাপ তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় দলগত বিভাগে সোনা জিতে মালদায় ফিরল জুয়েল। বাড়ি ফিরে আসতেই জুয়েলকে অভ্যর্থনা জানাতে ভিড় জমায় ওই এলাকার বাসিন্দারা।
গাজোলের পাণ্ডুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের ধোবাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল সরকার (১৬)। বাবা নিশম সরকার কৃষিকাজ করেন। মা নিরতি সরকার গৃহবধূ। স্থানীয় ভবানীকোঠা শশী বিদ্যাপীঠ থেকে সম্প্রতি মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছে জুয়েল। ছোটো থেকেই তির চালানোর শখ তার। প্রথমে গাজোলের তিরন্দাজি প্রশিক্ষক শ্রীমন্ত চৌধুরির কাছে বিএসএ ময়দানে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে জুয়েল। দু’বছর কঠোর অনুশীলনের পর ২০১৮ সালে জলপাইগুড়িতে ১০ দিনের ট্রায়াল শেষে সে ঝাড়গ্রাম বেঙ্গল আর্চারি আকাদেমিতে ভরতি হওয়ার সুযোগ পায় সে। সেখান থেকেই ইরাকে আয়োজিত এশিয়া কাপ আর্চারি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল জুয়েল।
জুয়েল জানায়, ২০২২ সালে ইরাকে আয়োজিত এশিয়া কাপ আর্চারি প্রতিযোগিতায় তারা দলগতভাবে ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে সোনা জিতেছে। আন্তর্জাতিক স্তরের সঙ্গে বিশ্বকাপে সফল হওয়াই এখন তার লক্ষ্য। জুয়েলের মা নিরতিদেবী জানান, ছেলে ক্লাস ফাইভে তিরখেলায় নাম দিয়ে প্রথম সফল হয়েছিল। তারপর থেকেই ওর তির চালানোর নেশা। শ্রীমন্ত স্যার ওকে প্রথমে তির চালানো শেখান। এখন ছেলে ঝাড়গ্রামে থেকে প্রশিক্ষণ নেয়। ছেলের সাফল্যে তাঁরা খুশি। তবে ছেলেকে আরও অনেক সাফল্য অর্জন করতে দেখতে চান তাঁরা।
জুয়েলের প্রথম প্রশিক্ষক শ্রীমন্ত চৌধুরি জানান,
তিনি বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ছেলেমেয়েদের তিরন্দাজির জন্য খোঁজ করতেন। ২০১৫ সালে জুয়েলদের স্কুলে গিয়েছিলেন। তখনই সে চোখে পড়ে। বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করে নিম্নমানের তির ধনুক কিনে ওদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। ২০১৮ সালে জুয়েলের সঙ্গে আরও সাতজন ঝাড়গ্রামে আকাদেমিতে যাওয়ার সুযোগ পায়। ওখানে আধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে ওরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। জুয়েলের সাফল্যে তিনি গর্বিত।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments