বানভাসিদের পাশে থাকার সময়ে অসহায় পঞ্চায়েত সদস্যরা
গঙ্গার জলে বানভাসি মানিকচকের ব্লকের বেশ কিছু এলাকা। সবচেয়ে ভয়ানক অবস্থা গদাই চর, নারায়ণপুর চর এলাকার। ওই এলাকায় বহু মানুষ আগেই বাঁধের ওপর ত্রিপলের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। এবার ঘর ছেড়ে ত্রিপলের নিচে আশ্রয় নিলেন দুই পঞ্চায়েত সদস্যও। দুর্গতদের পাশে থাকার সময়ে তাঁরা নিজেরাই অসহায়। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানের ব্লক প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
গত কয়েকদিন ধরে চূড়ান্ত বিপদসীমা অতিক্রম করে বইছে গঙ্গা। আজ দুপুরে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৫.৬২ মিটার। যা চরম বিপদসীমা থেকে ৩২ সেন্টিমিটার বেশি। জলে প্লাবিত হয়েছে মানিকচক ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিশেষত গদাই চর, নারায়ণপুর চরের সবচেয়ে বেশি মানুষ বানভাসি হয়েছেন। এবার বানভাসি হয়ে বাড়ি ছাড়লেন দুই পঞ্চায়েত সদস্যও।
গদাই চরের পঞ্চায়েত সদস্য সুলেখা মাহাতো জানান, ঘরে জল ঢোকার পরেও মাচা বেঁধে ঘরে ছিলাম। কিন্তু এখন সেই মাচার ওপর জল উঠেছে। বাধ্য হয়ে ঘর ছাড়তে হয়েছে। এই বাঁধের ওপর ত্রিপলের নিচে আশ্রয় নিয়েছি। এখানেও পানীয় জলের সমস্যা, খাবারের সমস্যা, শৌচাগারের সমস্যা। বিষয়টি বিডিওকে জানানো হয়েছে।
[ আরও খবরঃ তৃতীয় ঢেউয়ের আগে প্রস্তুত হচ্ছে রেল হাসপাতাল ]
নারায়ণপুর চরের পঞ্চায়েত সদস্য শেফালি চৌধুরি জানান, ব্লকের তরফে ৩০ কুইন্টাল চাল বিলি করা হয়েছিল। তা বহুদিন আগেই ফুরিয়ে গিয়েছে। দুর্গতরা শুকনো খাবারের দাবি তুলেছেন। গঙ্গা পেরিয়ে ব্লক অফিসে যাওয়া যাচ্ছে না। ব্লক অফিসে তাঁর স্বামী গেলেও কোনও সাহায্য মিলছে না। এলাকার অন্তত ২০০ পরিবার বানভাসি। প্রশাসনের কাছে তাঁদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments