উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দশে মালদার পাঁচ কৃতী
মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে তেমন সাফল্য না পেলেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মালদা জেলার স্থান যথেষ্ট ভালো। রাজ্যে প্রথম ১০ মেধা তালিকার মধ্যে স্থান করে নিয়েছে মালদা জেলার ৫ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে রাজ্যে ষষ্ঠ, তথা জেলায় প্রথম হয়েছে গাজোলের হাজি নাকু মোহম্মদ বিদ্যালয়ের ছাত্র সপ্তর্ষি রায়। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে যুগ্মভাবে বুধিয়া হাই মাদ্রাসার নৌরিন খাতুন ও রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের সৌমিক সরকার এদের দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮। ৪৮৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় নবম স্থানে আছে মানিকচক শিক্ষা নিকেতনের ছাত্রী সোমা সাহা। এছাড়া ৪৮৬ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় দশম স্থান অধিকার করেছে চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশনের ছাত্রী আরজু সুলতানা।
১) সপ্তর্ষি রায়, হাজী নাকু মোহম্মদ হাই স্কুল, গাজোল
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সপ্তর্ষি রায়। গাজোলের হাজী নাকু মোহম্মদ হাই স্কুলের ছাত্র সপ্তর্ষি’র প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। গাজোলের বিদ্যাসাগরপল্লীর বাসিন্দা ভাগবত রায় ও রমা রায়ের সন্তান এই সপ্তর্ষি। বাড়িতে বোন ও দাদাও রয়েছে। সে রাজ্য মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে।
২) নৌরিন খাতুন, বুধিয়া হাই মাদ্রাসা
বুধিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী নৌরিন খাতুনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮। সম্ভাব্য মেধা তালিকা অনুসারে রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে সে।
৩) সৌমিক সরকার, রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির
এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির থেকে রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে সৌমিক সরকার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮। বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের শিক্ষক অনুকূল বিশ্বাস জানালেন, সৌমিক বরাবর মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত। শান্ত স্বভাবের ছেলেটি পড়াশুনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে। সৌমিকের বাবা শ্রী উৎপল সরকার পেশায় ব্যবসায়ী ও মা শ্রীমতী সুমিতা সরকার গৃহবধূ। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে। সৌমিক ভবিষ্যতে অ্যাস্ট্রো-ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করতে চায়।
৪) সোমা সাহা, মানিকচক শিক্ষানিকেতন
৪৮৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় নবম স্থানে আছে মানিকচক শিক্ষা নিকেতনের ছাত্রী সোমা সাহা।
৫) আরজু সুলতানা, চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশন
রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশনের আরজু সুলতানা। সম্ভাব্য মেধা তালিকা অনুসারে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে মালদার চাঁচলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরজু সুলতানা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬। এই সাফল্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং প্রতিবেশীরা অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত।
টপিকঃ #মাধ্যমিক
Comments