মধ্যযুগীয় কুসংস্কারের ছায়া, ঝাড়ফুঁকে চিকিৎসা গৃহবধূর
আবারও কুসংস্কারের ছায়া মালদায়। অন্তঃসত্ত্বার শরীরে রক্তের সমস্যা থাকায় গুনিন ডেকে চলল ঝাড়ফুঁক। খবর পেয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করল পুলিশ। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলার নাম শ্যামলী মণ্ডল। বাড়ি ভূতনি থানার বাললিটোলা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামলীদেবী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁরা শরীরে রক্তের সমস্যা সহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। বুধবার সকালে পরিবারের লোকজন গুনিনকে ডেকে গৃহবধূর ওপর ঝাড়ফুঁক করান। রীতিমতো নিমপাতা ও জল দিয়ে চলে গৃহবধূর ওপর গুনিনের ঝাড়ফুঁক। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাজুড়ে। খবর পেয়ে ভুতনি থানার পুলিশ তড়িঘড়ি গৃহবধূকে উদ্ধার করে দিয়ারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করে। পাশাপাশি ভূতনি থানার পুলিশ ঘটনায় জড়িত ওঝা সঞ্চয় ভগতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
গৃহবধূর বাবা নিখিল মণ্ডল জানান, মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনোমতেই মেয়ের শরীর সুস্থ থাকছে না। কিন্তু ঝাড়ফুঁক করা হলে শরীর সুস্থ থাকছে। তাই ঝাড়ফুঁক করাচ্ছেন তাঁরা।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক রাজেশ সাহা জানান, আপাতত ওই মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এত প্রচারের পরেও গ্রামগঞ্জের মানুষ ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস করছেন এটা অবিশ্বাস্য। আগামী দিনে আরও এলাকাজুড়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তরের মধ্য দিয়ে প্রচার চালানো হবে।
[ আরও খবরঃ কালিয়াচক থেকে উদ্ধার ওমিক্রন সংক্রমিত কিশোর ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments