শিশু চুরি মালদা মেডিক্যাল কলেজে
এবার মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির অভিযোগ উঠল৷ এদিন বিকেলে মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে এই ঘটনা ঘটে৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন খোওয়া যাওয়া শিশুর মা৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
চুরি যাওয়া শিশুটির নাম সাজিব শেখ৷ বয়স মাত্র ৪০ দিন৷ বাবা উকিল শেখ পেশায় শ্রমিক৷ মা সরিফা বিবি (৩২) সাধারণ গৃহবধূ৷ তাঁদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থানার জিগারঘাটি গ্রামে৷ তাঁদের ৫ ছেলেমেয়ে৷ পুত্রসন্তানের জন্মের পর সারিফা নিজের মায়ের বাড়িতে এসেছিলেন৷ তাঁর মায়ের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ থানার দোগাছি গ্রামে৷
সম্প্রতি সরিফা ও তাঁর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন৷ সেকারণেই এদিন তিনি মা মাহেনুর বিবি, দিদি সাকিনা বিবি, এক জামাইবাবু জিয়াউল শেখের সঙ্গে মালদা মেডিক্যাল কলেজে আসেন৷ সকলেই চিকিৎসা করাতে মালদা এসেছিলেন৷ সঙ্গে ছিল ছোট্ট সাজিবও৷ সারিফা জানান, এদিন দুপুর থেকে তাঁরা হাসপাতালের আউটডোরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন৷ সাজিব তাঁর কোলেই ছিল৷ বিকেল নাগাদ একটি মেয়ে তাঁর কাছে আসে৷ সে সাজিবকে আদর করতে শুরু করে৷ খানিক পর সে সাজিবকে তার কোলে চায়৷ তিনি ভেবেছিলেন, সাজিবকে হয়তো মেয়েটির ভালো লেগেছে৷ সেকারণে তিনি ছেলেকে তার কোলে দেন৷ এরপরেই মেয়েটি সাজিবকে বলতে শুরু করে, সে কী খাবে৷ এভাবে এক পা এক পা করে সে তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছুটা দূরে চলে যায়৷ তখনই তাঁর মনে হয়, মেয়েটি সাজিবকে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে৷ সেকথা তিনি মাকে বলতেই তাঁর মা সাজিবকে খুঁজতে ছুটে যান৷ কিন্তু দেখা যায়, মেয়েটি আর সেখানে নেই৷ তার হাতের ব্যাগটি সেখানে পড়ে রয়েছে৷ কিন্তু তাঁর ছেলেকে নিয়ে মেয়েটি সেখান থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে৷ তাঁদের চিৎকার চেঁচামেচিতে সেখানে উপস্থিত সবাই মেয়েটিকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে৷ কিন্তু তাকে আর দেখা যায়নি৷ তাঁরা সেখানে কর্মরত হাসপাতালের কর্মীদেরও বিষয়টি জানান৷ কিন্তু সাহায্য করা দূরের কথা, হাসপাতালের কর্মীরা তাঁদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে৷ এরপরেই তাঁরা ইংরেজবাজার থানায় যান৷ গোটা ঘটনা জানিয়ে তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷
মালদা মেডিক্যালের সহকারী অধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এদিন বিকেলে একজন মহিলা তাঁর কাছে মৌখিকভাবে আউটডোর থেকে বাচ্চা চুরি যাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন৷ যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে বলে তিনি জানিয়েছেন, সেই জায়গাটি সিসিটিভি সীমানার বাইরে৷ তিনি ওই মহিলাকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন৷ তাঁরাও ঘটনাটি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন৷ এই ঘটনার তদন্তে তাঁরা পুলিশকে সবরকম সহযোগিতা করতে তৈরি৷ ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তবে এখনও ওই মেয়েটিকে চিহ্নিত করা যায়নি৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments