top of page

কর্মী সংকটে মিউজিয়াম, জট কাটাতে উদ্যোগী জেলাশাসক

হাজারদুয়ারি গিয়েছেন, বা সালারজং মিউজিয়াম। নিদেনপক্ষে কলকাতা যাদুঘরে গিয়েছেন নিশ্চয়ই। প্রাচীনকালের মূর্তি, অস্ত্র, মুদ্রা, এমনকি বিভিন্ন ভাস্কর্য দেখে সেখানে অবশ্যই মুগ্ধও হয়েছেন। কিন্তু জানেন কি এই মালদা শহরের বুকে এই আস্ত একটি মিউজিয়াম রয়েছে। গৌড়, আদিনা, জগজীবনপুর সহ মালদার বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত বহু প্রত্নসামগ্রী জায়গা করে নিয়েছে এই মিউজিয়ামে। মালদা কেন বলব, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের ভোলাহাটে পাওয়া প্রাচীন মূর্তিও এই মিউজিয়ামে দেখতে পাওয়া যাবে।


মিউজিয়াম মানেই তো নস্টালজিয়া। চোখের পাতা যেন চোখের সামনে খুলে গিয়েছে। কত অজানা রহস্যের উন্মোচন। মালদা যে একসময় পোড়ামাটির স্থাপত্য ভাস্কর্য তৈরি হতো তা এই মিউজিয়ামে এলেই জানা যাবে। কিন্তু এতসব এরপরেও কোথায় যেন একটা মিসিং লিঙ্ক থেকে যাচ্ছে। সেটা বোঝা যাবে জগজীবনপুর গ্যালারিতে ঢুকলেই। দুটো ছোট্ট শোকেসে কিছু পোড়ামাটির সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই মিলবে না এখানে। অন্তত জগজীবনপুরের ছবিটাও যদি থাকতো, আক্ষেপ এক দর্শকের। পাঁচ টাকার টিকিটটা তো কাটলাম। কিন্তু কোনটা কী বোঝাবে কে? গাইড কোথায় মিউজিয়ামে?


malda-museum-in-staff-shortage
মালদা জেলা সংগ্রহশালা

সমস্যা যে আছে সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন স্বয়ং জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়াও। তাই পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নিজেই পৌঁছে যান মিউজিয়ামে। ঘুরে দেখেন প্রতিটি ঘর। বুঝতে পারেন কর্মী সংকটের বিষয়টি প্রকট। কিউরেটর নেই। নেই কোনো স্থায়ী কর্মীও। গাইডের তো প্রশ্নই ওঠে না। বিষয়টি অনুধাবন করে জেলাশাসক বলেন, মিউজিয়ামে কিউরেটর নিয়োগের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তাছাড়া জাতীয় স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যায় সেটিও না চিন্তার মধ্যে রয়েছে। চাইছি মিউজিয়ামটিকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে। এজন্য মিউজিয়ামে একটি ক্যাফেটেরিয়া করার পরিকল্পনাও রয়েছে। মিউজিয়াম ঠিকঠাক পরিচালনার জন্য নতুন করে কমিটি তৈরির চিন্তাভাবনা করছি আমরা। আশা করছি পুজোর আগেই সাধারণ মানুষের জন্য মিউজিয়ামটিকে নতুন করে খুলে দেওয়া যাবে। জেলাশাসকের আশ্বাসবাণীতে মিউজিয়াম ঘিরে আশার আলো দেখছেন মালদা জেলার ইতিহাসপ্রেমীরা।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page