top of page

ধর্ষণে বাধা পেয়ে ইটের আঘাত প্রতিবেশীকে

মদ্যপ অবস্থায় প্রতিবেশিনীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছিল এলাকারই এক যুবক। আক্রান্ত মহিলার চিৎকারে তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান আরেক প্রতিবেশী। ধর্ষণে বাধা পেয়ে ইটের আঘাতে ওই প্রতিবেশীর মাথা ফাটিয়ে দেয় মদ্যপ যুবক। যদিও স্থানীয় মানুষজনের তৎপরতায় সে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে পারেনি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত ওই যুবককে তুলে দেন পুলিশের হাতে। গতকাল রাতে এই ঘটনার অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। আক্রান্ত ব্যক্তি বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধৃত যুবককে এদিন জেলা আদালতে পেশ করেছে মালদা থানার পুলিশ।



পেশায় মাছ বিক্রেতা শম্ভু হালদার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেন ৩ নম্বর বিমল দাস কলোনি এলাকায়। এলাকায় ভালো মানুষ হিসাবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। তাঁর স্ত্রী শঙ্করী হালদার বলেন, পেশায় রাজমিস্ত্রি দিলীপ হালদার নামে এক যুবক তাঁদের এলাকাতেই বসবাস করেন। প্রতিদিন মদ্যপানের নেশা রয়েছে তার। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় সে তাঁদের পাশের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওই বাড়ির কর্তা শহরের একটি হোটেলে কাজ করেন। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে ফিরতে দেরি হয় তাঁর। গতকাল তখনও তিনি বাড়ি ফেরেনি। আর সেই সুযোগে মদ্যপ অবস্থায় দিলীপ তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ওই মহিলার শাড়ি-ব্লাউজ ছিঁড়ে ফেলে সে। মহিলার চিৎকারে ছুটে যান শম্ভু হালদার। তিনি প্রতিবেশিনীকে মদ্যপ দিলীপের হাত থেকে উদ্ধার করেন। ধর্ষণে বাঁধা পেয়ে দিলীপ একটি ইট তুলে তাঁর শম্ভুর মাথায় আঘাত করে। মাথা ফেটে যায় তাঁর। দিলীপ সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকার লোকজন তাকে ধরে পুলিশে খবর দেন। দিলীপকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় মালদা থানার পুলিশ। আহত ও রক্তাক্ত স্বামীকে নিয়ে শঙ্করী হালদার রাতে স্থানীয় মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। সেখানে তাঁর মাথার ক্ষতস্থানে সেলাই করা হয়। সেখান থেকে মালদা থানায় গিয়ে তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে রাতে শম্ভুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মালদা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে দিলীপ হালদার নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Комментарии


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page