গোখরো দেখার হিড়িকে চলছে দেদার ব্যাবসা
মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের সুবিধা নিয়ে সাপকে কাজে লাগিয়ে দেদার চলছে ব্যবসা। বিষয়টি জানতে পেরে ওই সাপকে উদ্ধার করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন সর্পপ্রেমী। বন দফতরের দাবি, এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে ওই সাপ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লকের বাঙ্গিটোলা গ্রামপঞ্চায়েতের সাকুল্লাপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাকুল্লাপুর স্ট্যান্ডের পাশে বেশ কিছুদিন ধরে এই কার্যক্রম চলছে। বেশ কয়েকদিন ধরে একটি গোখরো সাপ রোদ পোহাতে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে। সেই সাপের দেখা পেতে ভিড় জমাচ্ছেন ধর্মপ্রেমী মানুষ। অনেকেই আবার দুধ-কলা নিয়ে সাপের খিদমতে হাজির হচ্ছেন। ধর্মপ্রাণ মানুষের এই আবেগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু লোকজন। ওই এলাকাকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। প্রণামী আদায়ের জন্য সেখানেই পেতে দেওয়া হয়েছে লাল শালু। সেই শালুর ওপরেই পড়ছে প্রণামী। সেই প্রণামীর টাকা যাচ্ছে মনসা মন্দির কমিটির ফান্ডে।
সাকুল্লাপুর মনসা মন্দিরের পূজারি বিষয় কর্মকার জানান, প্রায় মাস দেড়েক ধরে এই সাপ দেখা যাচ্ছে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত এই সাপ এখানেই থাকে। তারপরে ফের সে চলে যায়। এই সাপ দেখতে অনেক দূর থেকে মানুষ এখানে আসছেন। এখানে যে টাকাপয়সা আসছে, তা মন্দির কমিটির ফান্ডে যাচ্ছে।
বিষয়টি জানতে পেরে ওই এলাকায় ছুটে যান সর্পপ্রেমী নিতাই হালদার। তবে তাঁকে সাপের কাছেও যেতে দেয়নি এলাকার লোকজন। নিতাইবাবু জানান, দূর থেকে দেখে তাঁর ধারণা সাপটি গোখরো প্রজাতির। ওই সাপ পূর্ণবয়স্ক এবং রোগগ্রস্ত, দ্রুত ওই সাপকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করা দরকার।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় মানুষকে বুঝিয়ে ওই সাপ উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে বন দফতরের কর্মীরা।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments