স্কুলছাত্রীকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ
এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্তরা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এমনই অভিযোগে সরব নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া থানার দেবীপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, নির্যাতিতা ছাত্রী রতুয়ায় টিউশন পড়তে যাচ্ছিল। সেই সময় পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালুপুর এলাকার বাসিন্দা রহিমুল শেখ জোরপূর্বক তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর মাদক খাইয়ে রহিমুল এবং তার দুই সঙ্গী ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে গ্রামে ফেলে রেখে চলে যায়। কোনরকমে ওই নাবালিকা বাড়িতে আসে। একটু সুস্থ হলে সমস্ত ঘটনা তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা রহিমুল ও তার সঙ্গীরা। এদিন তাদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করা হয়। পরে কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। গ্রামবাসীরা জানায়, আগামীকাল তাঁরা নির্যাতিতাকে সাথে নিয়ে পুলিশসুপারের সাথে দেখা করবে।
পরিবারের আরও অভিযোগ, অভিযুক্তরা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এদিকে, গোটা ঘটনা নিয়ে অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, যেহেতু অভিযুক্তরা রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, সেই কারণে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
[ আরও খবরঃ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে বাস, চলছে উদ্ধার কাজ ]
জেলা পুলিশসুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, রতুয়ায় একটি ধর্ষণের লেট এফআইআর হয়েছে। সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশি তল্লাশি জারি রয়েছে। নির্যাতিতাতে দ্রুত বিচার পাইয়ে দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ความคิดเห็น