ছাত্রদের মারধর, সুপারের গ্রেফতারির দাবিতে অবরোধ পড়ুয়াদের
বৈষ্ণবনগরের ১৬ মাইলের একটি হস্টেলের দুই ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ সুপারের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তারা শহরের একটি নার্সিংহোমের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত সুপারের গ্রেফতারির দাবিতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ পড়ুয়াদের। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বৈষ্ণবনগরে।
আহত দুই পড়ুয়ার নাম নাসিব রাইহান ও নাসিম আখতার। নাসিবের বাড়ি গাজোলের রামনগরে। মানিকচক থানার সাহাবাতটোলা গ্রামের বাসিন্দা নাসিম। পড়ুয়াদের অভিযোগ, হস্টেলের খাবার খুবই নিম্নমানের। গতকাল রাতে হস্টেলে খাবার খেতে না পারায় পাঁচজন বাইরে খাবার আনতে গিয়েছিল। হস্টেলে ফিরতেই সুপার তাদের মারধর শুরু করে। দুই পড়ুয়ার নাক-মুখ থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে। পড়ুয়ারাই দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে মালদা শহরের একটি নার্সিংহোমে ভরতি করেন। পুলিশে বিষয়টি জানানো হলেও রাজনৈতিক চাপে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ পড়ুয়াদের। এদিকে, ঘটনার পর রাতের পর সকাল থেকে বারবার পড়ুয়ারা থানায় গিয়ে পুলিশের সাহায্য চান। পুলিশের সাহায্য না পেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পড়ুয়ারা। পরে অভিযুক্ত হস্টেল সুপার মোহম্মদ সামসুজ্জোহাকে আটক করে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।
ছাত্র নিগ্রহের বিষয়টি মানতে চাননি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁর দাবি, তিনি শুনেছেন নিয়ম না মানার জন্য হস্টেল সুপার ছাত্রদের মারধর করেছেন। তাঁর এই কাজ করা উচিত হয়নি। আহত পড়ুয়াদের দেখতে গিয়ে আমাদের তিন শিক্ষককে আটক করে রাখে ছাত্ররা। পুলিশ ওই শিক্ষকদের উদ্ধার করেছে।
[ আরও খবরঃ বর্ষা আসতেই আন্ডারপাসের কাজে গতি, ক্ষুব্ধ শহরবাসী ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments