শুভেন্দুর ইস্তফার পর একাধিক তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ছাড়লেন পদ
গত কয়েকদিন ধরেই বাংলার রাজনীতি সরগরম শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল শুভেন্দু তাঁর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। একই দিনে মালদায় শাসকদলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পদত্যাগ করেছেন তৃণমূলের পাঁচ অঞ্চল সভাপতি। আজ ফের গ্রামপঞ্চায়েতের দলনেতার পদ থেকে অপর একজন পদত্যাগ করেন।
মন্ত্রীসভা ছাড়ার দুই সপ্তাহ পর গতকাল বিকেলে বিধানসভায় পৌঁছে ইস্তফাপত্র জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর একইদিনে সন্ধেয় বামনগোলা ব্লকের বামনগোলা, পাকুয়াহাট, গোবিন্দপুর-মহেশপুর, জগদলা, ও চাঁদপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতিরা জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে নিজেদের পদত্যাগপত্র জমা দেন৷ তৃণমূলের মালদা জেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ও কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকারের কাছেও তাঁরা পদত্যাগপত্রের কপি পাঠিয়েছেন৷ আজ ফের আরেক তৃণমূল নেতা পদত্যাগ করেন হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি। হরিশচন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতের দলনেতার পদ সহ তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি। তিনি সংশ্লিষ্ট ব্লক সভাপতিকে পাঠিয়েছেন পদত্যাগপত্র।
দল ছাড়ার পর বামনগোলা অঞ্চল তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মোস্তাফিজুর সরকার জানিয়েছেন, ব্লকের প্রথম সারির নেতারা ইতিমধ্যেই সকলে পদত্যাগ করেছেন৷ আমরা মানুষের কাজ করতে পারছি না৷ ব্লকের নেতৃত্ব শুধুমাত্র মিটিং-মিছিল করার জন্য শুধু আমাদের ডাকে৷ তারপর তারা আর কারো খোঁজ নেয় না৷ এখানে নেতাদের সিন্ডিকেট রাজ চলছে৷ সেকারণেই আমিও পদ থেকে সরে এসেছি৷ আরেক তৃণমূলের বিদায়ি সভাপতি তফিউর রহমান বলেন, যেভাবে দল চালানো হচ্ছে তাতে আমাদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে৷ আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে ব্লক নেতৃত্ব আমাদের উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে৷ তাই আমরা পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি৷ আমরা দলে থাকতে চাই, পদে থাকতে চাই না৷ এখনই আমাদের অন্য দলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ তবে দল যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমাদের ভেবে দেখতে হবে৷ একই কথা জগদলা অঞ্চল তৃণমূলের পদত্যাগী সভাপতি নারায়ণচন্দ্র মণ্ডল, পাকুয়াহাট অঞ্চল সভাপতি শ্যামল মণ্ডল এবং চাঁদপুর অঞ্চল সভাপতি সাহেব হাঁসদারও৷
তবে এবিষয়ে চিন্তিত নন মালদা জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর বাবলা সরকার৷ তিনি বলেন, এরা বাজার গরম করার চেষ্টা করছে৷ এসব নিয়ে চিন্তিত নয় দল৷ তিনি আরও জানান, দলের নির্দেশমতো জেলার প্রতিটি ব্লক ও অঞ্চল কমিটি নতুন করে সাজানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বানমগোলায় তিন-চারজন কর্মী পদত্যাগ করেছে, তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে৷ এই ব্লকে নতুন একজন সভাপতি হয়েছে। কংগ্রেস থেকে আমাদের দলে এসেছে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী তাকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তাকে ভয় দেখিয়ে এরা অঞ্চল সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করছিল৷ নতুন অঞ্চল সভাপতির নাম ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চলে গিয়েছে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Commentaires