প্রধানমন্ত্রীকে দুর্যোধন বলে সম্বোধন তৃণমূল নেত্রীর
প্রকাশ্য জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে শূর্পণখা বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি নেতা। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দুর্যোধন সম্বোধন করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র।
দলীয় কর্মীসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শূর্পণখা বলে কটূক্তি করেছিলেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র৷ তার জেরে প্রতিবাদে সরব হয়েছিল তৃণমূল৷ সজল ঘোষের কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভও দেখানো হয়েছিল৷ এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের নেত্রী সাবিত্রী মিত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দুর্যোধন সম্বোধন করলেন৷ সাবিত্রীদেবীর কুমন্তব্য থেকে পার পাননি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও৷ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কথায়, তিনি দুঃশাসন৷ শুধু তাই নয়, বিজেপির নেতৃত্বকে ঘুরিয়ে ধর্ষক বলেও সম্বোধন করেছেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেত্রী৷
গতকাল রতুয়ার কাহালা হাইস্কুলে সভা করে তৃণমূল৷ সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বকশি, বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, সমর মুখোপাধ্যায়, চন্দনা সরকার সহ অন্যান্যরা।
সভামঞ্চ থেকে সাবিত্রী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শূর্পণখা বলা হচ্ছে। শূর্পণখা হওয়া ভাগ্যের কথা৷ কারণ, রাবণের মতো মহা পণ্ডিত কেউ ছিল না৷ একমাত্র রামের হাতে মৃত্যুবরণ করার জন্যই রাবণকে সীতাহরণ করতে হয়েছিল৷ মমতাদিদিকে যদি শূর্পণখা বলা হয়, তবে অমিত শাহজিকে, মোদীজিকে, পশ্চিমবাংলায় বিজেপির আরও যারা নেতা রয়েছেন, তাঁদের দুর্যোধন আর দুঃশাসন বলা হবে৷ খালি স্ত্রীদের বস্ত্রহরণ করা ছাড়া ইনাদের কোনও কাজ নেই৷
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর জনসভার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শূর্পণখা বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র তথা কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সজল ঘোষ৷ তাঁর এই মন্তব্যের জন্য পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments