গাজনের সং এখন উপার্জনের রং, ব্রাত্য শিক্ষা-কর্ম
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণে রয়েছে চড়ক পুজোও৷ আগামী শুক্রবার পালিত হবে চড়ক৷ চড়ক পুজোর বিশেষ অংশ গাজন। কথিত আছে, গাজন শিব-পার্বতীর বিয়ের উৎসব৷ গাজন নিয়ে নানা মত রয়েছে। রয়েছে নানা রীতিও। সেই রীতির মধ্যে অন্যতম সং সাজা। চড়ক পুজোর আগে গাজনে অংশ নিতে কিশোরদের উৎসাহ এখন চোখে পড়ার মতো।
গাজন উৎসবে রং মেখে সং সেজে ঘোরার পেছনে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনী৷ কথিত রয়েছে, কোনও এক সময় পার্বতী কৈলাসে শিবকে একা ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান৷ বেশ কিছুদিন একা থাকার পর পার্বতীর বিরহ আর সহ্য করতে না পেরে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য নন্দিকে পাঠান শিব৷ কিন্তু পার্বতীর ফিরে আসার আগে পর্যন্ত অপ্সরা, চিত্রলেখা, পার্বতী সেজে শিবের মনোরঞ্জন করেন৷ তখন থেকেই গাজন উৎসবে সং সাজার রীতি শুরু হয়৷ শুধু সং সাজাই নয়, গাজনে মুখা নাচেরও প্রচলন রয়েছে৷
বর্তমানে গাজনে মেতে উঠেছে কিশোররা। প্রায় এক পক্ষ ধরে প্রতি সকালে শহরের বালুচরের শ্মশান কালী মন্দিরে সং সাজে বহু কিশোর৷ তারপর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে তারা। ওই কিশোরদের একজন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শুভ রায়। শুভ জানায়, ১ তারিখ থেকে আমরা সং সাজছি। এই সময়ে পড়াশোনা বন্ধ রয়েছে। চড়কের পর ফের স্কুলে যাওয়া ও পড়াশোনা শুরু হবে।
আরেক গাজন সন্ন্যাসী বিশ্বজিৎ চৌধুরি জানায়,
সং সেজে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে আমরা গাজন পুজোর খরচ সংগ্রহ করি। সং সেজে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য গুদামের কাজ থেকে ছুটি নিয়েছি। ঠাকুরের পুজোয় সং সাজা শখ থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন সং সাজাটা নেশায় পরিণত হয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Hozzászólások