এক মাস ধরে নিখোঁজ ছেলে, পাশে থাকার বার্তা সিপিআইএমের
উত্তরপ্রদেশে ইন্ডিয়ান অয়েলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিয়েছিলেন ২৮ বছরের ইন্দ্রনীল ঝাঁ। ১০ দিনের ছুটিতে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু একমাস পার হয়ে গেলেও বাড়িতে এসে পৌঁছননি মানিকচক ব্লকের ধরমপুরের ওই যুবক। ছেলের সন্ধানে কানপুরে পাড়ি দিয়েছিলেন পরিবারের লোকজনও। তবে সেখানকার পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও ইন্দ্রনীলের পরিবারকে কোনো সহায়তা করেনি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ওই পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে সিপিআইএম৷
মানিকচকের চৌকি মীরদাদপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ধরমপুর গ্রামের বাসিন্দা সাধন ঝা৷ তিনি সেলসম্যান। স্ত্রী জয়শ্রী ঝাঁ আশাকর্মী৷ তাঁদের একমাত্র সন্তান ইন্দ্রনীল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে ইন্ডিয়ান অয়েলে চাকরি পান৷ গত মার্চ মাসে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল। কাজে যোগদানের পর থেকে হোম সিকনেসে ভুগতে শুরু করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৯ এপ্রিল তাঁর ১০ দিনের ছুটি মঞ্জুর করা হয়৷ ছুটি পেয়েই বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন ইন্দ্রনীল৷ বাসে চেপে কানপুর পৌঁছে স্টেশনে যাওয়ার জন্য টোটোতে চেপে বসেন৷ স্টেশনে যাওয়ার পথে মোবাইল ফোনে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ইন্দ্রনীল৷ তারপর থেকেই আর কোনও হদিস নেই ধরমপুরের এই যুবকের৷
সাধনবাবু জানান, ছেলে বিটেক করার পর ইন্ডিয়ান অয়েলে চাকরি পায়৷ পানিপথে চাকরিতে যোগ দেয়৷ কানপুর থেকে বাড়ি আসার পথে নিখোঁজ৷ ২০ তারিখ স্টেশনে যাওয়ার পথে আমাদের সঙ্গে ওর কথা হয়েছিল। তারপর থেকে আর ছেলের খোঁজ পাইনি। ছেলের খোঁজে নেতা-বিধায়কদের দরজায় দরজায় ঘুরেছি৷ কেউ পাশে দাঁড়াননি৷ মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, ছেলের মোবাইল ফোনের শেষ লোকেশন ছিল কানপুর৷ ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি কিছু টাকাও অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে৷ ছেলের খোঁজে আমরা কানপুরে গিয়ে ১৮ দিন ছিলাম৷ সেখানকার পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়, ভোটের জন্য ওরা কিছু করতে পারবে না৷ অবশেষে আমরা লালবাজারে সিআইডির দ্বারস্থ হয়েছি৷ সিআইডি ছেলের খোঁজ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে৷ আমরা ছেলেকে ফিরে পেতে চাই৷
সিপিআইএমের জেলা কমিটির সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা জানান, আমাদের অনুমান, দুষ্কৃতীরা ওকে কোনও গ্রামে নিয়ে গিয়ে সব কেড়ে নেয়৷ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফারের ঘটনায় এমনই মনে হচ্ছে। কানপুর পুলিশ দুষ্কৃতীকে ধরলেও ইন্দ্রনীলের হদিস দিতে পারেনি৷ কানপুর পুলিশ এই ঘটনার দায় নিজেদের কাঁধ থেকে নামিয়ে ফেলতে চাইছে৷ ইন্দ্রনীলকে উদ্ধার করতে প্রয়োজন হলে আমরা আন্দোলনে নামব৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Kommentare